রক্তের আকাল মেটাতে এ বার ‘স্বেচ্ছায়’, এগিয়ে এলেন মহিলারা। আর তাই দিনের প্রথমার্ধে মোট ৩১ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। যাতে এবি পজিটিভের মতো কম মজুত থাকা গ্রুপের রক্তদাতাও রয়েছেন।
রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো, চলতি গ্রীষ্মের মরসুমের বেশ কিছু দিন একাধিক গ্রুপের রক্তের অমিল ছিল বোলপুরে। এমনও দিন গিয়েছে শুধু মাত্র পজিটিভ যে কোনও একটি গ্রুপের রক্ত বাদ দিলে, রক্ত ভাণ্ডারের বাকি গ্রুপের তালিকায় মজুতের পরিমাণ শূন্য থেকেছে। রক্তের আকাল মেটানোর জন্য ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ এবং জন সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচিতে এগিয়েছে এসেছে অনেক ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী-সহ একাধিক সংগঠন। কিন্তু মিশন কম্পাউন্ডের বোলপুর অ্যাথেলেটিক্স অ্যান্ড কালচরাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বুধবারের শিবিরে মহিলাদের ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য।
সংগঠনের পক্ষে অতনু ঘোষ বলেন, ‘‘এই প্রথম আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, মহিলারা এই ভাবে স্বতঃস্ফূর্ত এগিয়ে আসবে ভাবতে পারেনি।’’ স্থানীয়ও বাসিন্দা তথা এলাকার একটি নৃত্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায় ওরফে জবা দেবী বলেন, ‘‘আমার রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ। এই রক্তের আকালের কথা শুনেছিলাম। রক্ত দিয়েছি।’’ শুধু তিনিই নন, শর্মিষ্ঠা ঘোষাল, স্নিগ্ধা সরকার, মনিকা দাস, মিতালি সরকারের মতো গৃহবধূদের পাশাপাশি কমপিউটারের প্রশিক্ষক জয়িতা নন্দীরাও এগিয়ে এসেছেন রক্তের আকাল মেটাতে।
বোলপুর ব্লাড ব্যাঙ্কের পক্ষে দেবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, মজুতের পরিমাণ যা অনেকের উপকারে আসবে। ওই অনুষ্ঠানে বোলপুরের মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা, এসডিপিও অম্লান কুসুম ঘোষ-সহ অনেকেই ছিলেন।