মহিলাকে ‘নিগ্রহ’ বিষ্ণুপুরে

স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধর ও সম্মানহানির অভিযোগ উঠল। বিষ্ণুপুর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধর ও সম্মানহানির অভিযোগ উঠল। বিষ্ণুপুর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্দকুন্দা বাজার এলাকায়। পুলিশ এলাকায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

আহত অবস্থায় বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি থাকা পুতুল কর্মকারের দাবি, তাঁর জমি লাগোয়া একটি পাঁচিল তোলা নিয়ে স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। ১৪৪ ধারাও জারি ছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শুক্রবার সকালে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যেরা জোর করে আমার জমির উপর পাঁচিল তুলছিল। বিষ্ণুপুর থানায় জানানোর পরে পুলিশ এসে বারণ করে। কিন্তু, তারপরেও ছেলেগুলি আবার পাঁচিল দিতে শুরু করে। বাধা দিতেই আমাকে মারধর ও সম্মানহানি করে।’’

তিনি জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পরে সামান্য গুমটি দোকান চালিয়ে এক ছেলে ও এক মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। কিছু দিন আগে তাঁর মাটির বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই সুযোগে ক্লাবের ছেলেরা জোর করে তাঁর জায়গা দখল করে পাঁচিল তুলতে শুরু করে।

Advertisement

পুতুলদেবীর আত্মীয় আনন্দ কর্মকার দাবি করেন, ‘‘জায়গাটি নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে বিতর্ক থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু, এ দিন সরকারি ছুটির দিনের সুযোগ নিয়ে ক্লাবের ছেলেরা ওই জায়গা দখলের মতলবে ছিল। বাধা দিতে গিয়ে বৌদি নিগৃহীত হয়েছে।’’ পুতুলদেবী বলেন, ‘‘ওরা ঘর অবধি তাড়া করে আমাকে মারধর করেছে। ওদের নাম উল্লেখ করেই বিষ্ণুপুর থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছি। নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’

ওই ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ অরিজিৎ দাস-সহ অন্য সদস্যদের দাবি, ‘‘কুন্দকুন্দাবাজার ষোলআনা এবং ক্লাবের যৌথ একটি কালী মন্দিরের পাঁচিল ভেঙে গিয়েছিল। ক্লাবের ছেলেরা মিস্ত্রি নিয়ে সংস্কারের কাজ করছিলেন। কাউকে মারধর করা হয়নি। বরং পুতুলদেবীই ঝাঁটা নিয়ে তাঁদের সদস্যদের মারধর করে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’’ ১৪৪ ধারা জারির কথা তাঁরা আগে জানতেন না বলে দাবি করেছেন। গোলমালের মধ্যে সদ্য তৈরি করা পাঁচিলটি ভেঙে পড়ে।

তবে বিষ্ণুপুর থানা জানিয়েছে, দু’পক্ষকেই ১৭ সেপ্টেম্বর ১৪৪ ধারার নোটিস দেওয়া হয়েছে। বিধি নিষেধ ভেঙে কাজ করার অভিযোগে চার জন মিস্ত্রিকে আটক করা হয়েছে। মহিলাকে মারধরের তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন