দু’টি পৃথক ঘটনায় কীটনাশক খেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল দু’জনের।
প্রথম ঘটনাটি নলহাটি থানার শালিসন্ডা গ্রামের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুজিত প্রামাণিক (২৪)। পরিবার ও পুলিশ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম বাজারে সুজিতের একটি সেলুনের দোকান আছে। প্রতি দিন কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পরে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজিত। তখনই ওই যুবক পরিজনদের জানান, তিনি কীটনাশক খেয়েছেন। প্রথমে লোহাপুরে নলহাটি ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে সুজিতকে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখানেই তিনি মারা যান।
দ্বিতীয় ঘটনায় শুক্রবার রাতেই কীটনাশক খেয়ে এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুমন রাজবংশী (১৮)। বাড়ি মুরারই থানার পাইকর গ্রামে। সুমনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। বছর দুয়েক আগে গ্রামেরই যুবক পেশায় দিনমজুর শ্যামল রাজবংশীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুমনের। তরুণীর মা দীপালিদেবীর দাবি, ‘‘আমি পরের বাড়িতে কাজ করে খাই। জামাইও কাজে বাইরে ছিল। ও কখন মেয়ে সবার অলক্ষ্যে কীটনাশক খেয়েছিল জানি না।’’ সুমনকে প্রথমে পাইকরে, পরে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’টি ঘটনাতেই এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে দু’জনেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।