অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব টাকা, নিতুড়িয়ায় ধৃত দুই

অনলাইনে ব্যাঙ্ক থেকে দিল্লির এক চিকিৎসকের ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানা এলাকার দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করল দিল্লির সফদরজঙ্গ থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক জন স্থানীয় হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে নিতুড়িয়ার হেড্ডি গ্রামের বাসিন্দা। অন্য জন, নিতুড়িয়ার নবগ্রামের বাসিন্দা এবং সড়বড়ির পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নিতুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৩১
Share:

অনলাইনে ব্যাঙ্ক থেকে দিল্লির এক চিকিৎসকের ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানা এলাকার দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করল দিল্লির সফদরজঙ্গ থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক জন স্থানীয় হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে নিতুড়িয়ার হেড্ডি গ্রামের বাসিন্দা। অন্য জন, নিতুড়িয়ার নবগ্রামের বাসিন্দা এবং সড়বড়ির পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

Advertisement

শুক্রবার সকালে নিতুড়িয়া থানার পুলিশের সাহায্য বাড়ি থেকে ওই দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে সফদরজঙ্গ এনক্লেভ থানার পুলিশ। এ দিনই ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তুলে তাদের ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ নেওয়া হয়। রঘুনাথপুরের এসডিপিও পিনাকী দত্ত বলেন, “ব্যাঙ্ক থেকে অনলাইনে দিল্লির এক চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দু’জনকে ধরা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এ বিষয়ে আমাদের আগাম জানিয়েছিল। সেই তথ্যর ভিত্তিতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করায় আমরা ওদের সাহায্য করেছি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, ১৯ জানুয়ারি তৃপ্তি শ্রীবাস্তব নামে ওই চিকিৎসকের বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তার আগে ওই চিকিৎসককে এক ব্যক্তি ফোন করে ব্যাঙ্কটির প্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে ফোন করে তাঁর ডেবিট কার্ড ‘আপগ্রেডেশন’ করার নাম করে কার্ডের গোপন পিন নম্বর জেনে নেয়। তার পরেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়। সফদরজঙ্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই চিকিৎসক। সফদরজঙ্গ থানা তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হওয়া টাকা দু’দফায় অনলাইনেই নিতুড়িয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে দুই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ব্যাঙ্ক থেকে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে দিল্লি পুলিশ ২০ তারিখ যোগাযোগ করে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সঙ্গে। নিতুড়িয়া থানার পুলিশ খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে অ্যাকাউন্ট গ্রাহকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। ওই দুই ছাত্রের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে কোনও লেনদেন না ঘটে, সেই বিষয়ে ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষকেও জানায় পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, ধৃতদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরেই প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছিল তারা। এ দিন সফদরজঙ্গ এনক্লেভ থানার ইনস্পেক্টর আনন্দ কুমারের নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশের তিন সদস্যের এক দল নিতুড়িয়ায় এসে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সাইবার ক্রাইম চক্রের সঙ্গে জড়িত হলেও এরা মূলত ‘রিসিভার’। অর্থাৎ, এদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে চক্রের মূল পান্ডা। ফলে, তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই পান্ডার খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই হেড্ডি গ্রামের ও বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকার আরও দুই ব্যাক্তির এই চক্রে যুক্ত থাকার কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, মূল পান্ডা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বাসিন্দা। এ দিকে এদিন আদালতে ধৃতদের এক আত্মীয় দাবি করেন, তাদের পরিবারের ছেলেরা নির্দোষ। পরিচিত এক ব্যক্তি কয়েক দিন আগে তাদের দু’জনের ডেবিট কার্ড প্রয়োজন আছে বলে নিয়ে গিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন