অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে বিতর্কে শতাব্দী

সামনেই নির্বাচন। অথচ গত শুক্রবার নলহাটি ১ ব্লকের বড়লা গ্রাম পঞ্চায়েতে শতাব্দী রায়ের সাংসদ এলাকা উন্নয়ন খাতে দেওয়া নতুন অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছেছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে কী ভাবে এই অ্যাম্বুল্যান্স আনা হল তা নিয়ে, প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস। অভিযোগের তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ভবনে মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফ থেকে যেতে হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৪ ০০:৪৩
Share:

সামনেই নির্বাচন। অথচ গত শুক্রবার নলহাটি ১ ব্লকের বড়লা গ্রাম পঞ্চায়েতে শতাব্দী রায়ের সাংসদ এলাকা উন্নয়ন খাতে দেওয়া নতুন অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছেছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে কী ভাবে এই অ্যাম্বুল্যান্স আনা হল তা নিয়ে, প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস। অভিযোগের তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ভবনে মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফ থেকে যেতে হয়েছে।

Advertisement

গত পাঁচ বছরে শতাব্দী রায় তাঁর এলাকায় ৪২টি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছেন। ফের প্রার্থী হওয়ায় তিনি প্রচারে বড় হাতিয়ার হিসেবে সেই অ্যাম্বুল্যান্সকে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপির জেলা সম্পাদক দুধকুমার মণ্ডল বলেন, “আমরা জেলাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে নির্বাচন বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছি।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।” শতাব্দী রায় অবশ্য দাবি করেন ওই পঞ্চায়েতে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অনেক আগে টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন যদি ওই অ্যাম্বুল্যান্স মানুষের প্রয়োজনে এসে থাকে, তাতে আমার মনে হয় কোনও আইন বিরুদ্ধ কাজ হবে না।” নলহাটি বিধানসভার ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমার বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন খাতে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার কাজ অনুমোদন হয়ে পড়ে আছে। নির্বাচন বিধি লাগু থাকার জন্য ওই সমস্ত কাজ হচ্ছে না। তিনি নিয়ম ভেঙে অ্যাম্বুল্যান্স দিলেন।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়লা পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য সাংসদের দেওয়া কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা পড়ে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় অ্যাম্বুল্যান্স কেনার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। গত ২৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে অ্যাম্বুল্যান্স কেনার জন্য বড়লা পঞ্চায়েতকে টাকা দেওয়া হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চায়েতের তরফ থেকে আসানসোলে অ্যাম্বুল্যান্স কেনার অর্ডার দেওয়া হয়। ১৪ দিন পরে ওই অ্যাম্বুল্যান্স পঞ্চায়েত ভবনে নিয়ে আসা হয়। আপাতত ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বড়লা পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের সিরাজুল ইসলামের দাবি, “অ্যাম্বুল্যান্স কেনার ব্যাপারে কোনও রকম বেনিয়ম হয়নি। মানুষের ভাল কাজে কিছু লোক রাজনীতি করার জন্য অভিযোগ করেছে। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে আমরা অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করব।” রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “জেলাশাসককে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।” বহুবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন