হুড়ায় ধৃত ১

আদিবাসী বধূকে ‘গণধর্ষণ’

রাতে নিজের ঘরেই ধর্ষিতা হলেন এক আদিবাসী বধূ। এমনই অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার রাতে হুড়া থানা এলাকার এক গ্রামে। বুধবার সকালে হুড়া থানায় গিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৪ ০৬:৫৩
Share:

রাতে নিজের ঘরেই ধর্ষিতা হলেন এক আদিবাসী বধূ। এমনই অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার রাতে হুড়া থানা এলাকার এক গ্রামে। বুধবার সকালে হুড়া থানায় গিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের এক প্রান্তে এই মহিলা তাঁর প্রায় বছর পাঁচেকের ছেলেকে নিয়ে একা থাকেন। মহিলার স্বামী অনেকদিনই বাড়ি ছাড়া। কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তিনি। নানা জায়গায় খোঁজ করেও স্বামীর কোনও খোঁজ না পেয়ে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন বছর ত্রিশের ওই বধূ। অল্প জমি-জিরেত রয়েছে। সংসার চালাতে দিনমজুরিও করতে হয় এই মহিলাকে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অল্প বৃষ্টি হয়েছিল। খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন ওই বধূ। তারপরেই ওই ঘটনা ঘটে বলে বধূটির অভিযোগ। বুধবার সকালে তাঁর ফোন পেয়ে এই ব্লকেরই কেন্দবনা গ্রাম থেকে এক আত্মীয় ওই মহিলাকে হুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শয্যায় শুয়ে মহিলা অভিযোগ করেন, “রাতে ঘরের মেঝেতে শুয়েছিলাম। আচমকা দরজা ভাঙার শব্দ পাই। অন্ধকারের মধ্যেই বুঝতে পারি ঘরের মধ্যে জনা তিনেক লোক ঢুকে পড়েছে। তাঁরা আমার মুখে কাপড় বেঁধে দেয়। তারপর তিনজন মিলে আমাকে গণধর্ষণ করে।” ভোরের দিকে তাঁর জ্ঞান ফেরে।

Advertisement

বধূটির ওই আত্মীয় বলেনন, “সকালে খবর আমি গ্রামে এসে ওকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। কারা ওঁর সর্বনাশ করল বুঝতে পারছি না।” খবর পেয়ে এ দিন ওই গ্রামে যান ডিএসপি মহম্মদ আজিম। তিনি গ্রামে গিয়ে মহিলা রাতে যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেই ঘর খুঁটিয়ে দেখেন।

জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “ওই মহিলা তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভোলানাথ টুডু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই গ্রামেরই বাসিন্দা।” তিনি জানান, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

ঘটনার সময় মহিলার পাশে তাঁর এক শিশুপুত্র ঘুমিয়েছিল। মহিলা জানিয়েছেন, ঘটনার সম্পর্কে তাঁর ছেলে কিছু জানে না। সে ঘুমাচ্ছিল। পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা ওই ছেলেটির সঙ্গে কথা বলেছি। সে কিছু জানে না।” বলে জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন