রাস্তা সংস্কারে উদাসীন প্রশাসন

আদালতে যাওয়ার ভাবনা বাসিন্দাদের

ঢোলকাটা থেকে রায়পুর এবং ঢোলকাটা থেকে দেউচা সেতু পর্যন্ত দু’টি রাস্তা খানাখন্দে ভরা। তার উপর প্রতিদিন প্রায় ১২০০ পাথর বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে ধুলো দূষণেও জেরবার এলাকার বাসিন্দারা। ধুলো দূষণ রুখতে এবং রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আবেদন-নিবেদন থেকে শুরু করে অবরোধ সবই হয়েছে। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তাই এ বার আদালতে জনস্বার্থ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৩
Share:

ঢোলকাটা থেকে রায়পুর এবং ঢোলকাটা থেকে দেউচা সেতু পর্যন্ত দু’টি রাস্তা খানাখন্দে ভরা। তার উপর প্রতিদিন প্রায় ১২০০ পাথর বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে ধুলো দূষণেও জেরবার এলাকার বাসিন্দারা। ধুলো দূষণ রুখতে এবং রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আবেদন-নিবেদন থেকে শুরু করে অবরোধ সবই হয়েছে। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তাই এ বার আদালতে জনস্বার্থ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সোরেন বলেন, “দূষণ-সহ এলাকার নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে ২০০৮-৯ সালে এলাকার লোকজন আন্দোলন করছেন। আমরা চাই না শিল্পাঞ্চলের কাজকর্ম স্তব্ধ করে ওরকম আন্দোলন হোক। কিন্তু আমাদের দিকটাওতো সরকারকে দেখতে হবে। অবিলম্বে রাস্তা সারানো ও দূষণ রোধে সরকার ব্যবস্থা না নিলে আমরা কলকাতা উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মহম্মদবাজারের রায়পুর ও দেউচা থেকে দু’টি রাস্তা ঢোলকাটা পর্যন্ত গিয়েছে। মূলত এই রাস্তা দু’টির উপর নির্ভরশীল এলাকার লোকজন। এক দিকে রায়পুর, দেউচা, মুরগাবুনি, জগতপুর, হরিণসিঙা, শালডাঙা। অন্য দিকে, ইচ্ছেডাঙা, হাবড়াপাজাড়ি, পাঁচামি, সাগরবাঁধি, মথুরাপাহাড়ি হয়ে ঢোলকাটা। মল্লারপুরের টুরকু হাঁসদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পূর্ণিমা টুডু, সোনালি মারান্ডি, মথুরাপাহাড়ির বাবুধন কিস্কু, সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্র কালীদাস সোরেন, বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনিতা সোরেনরা বলেন, “রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থার জন্য ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। মাসে যে কতবার সাইকেলের চাকা নষ্ট হয়, গুনে শেষ করা যাবে না।” একই অভিজ্ঞতা জগতপুরের আলাউদ্দিন মিঞা, হরিণসিঙার শ্যামচাঁদ হাঁসদা, শালডাঙার বয়ল সোরেন, সুকদি মুর্মু, নিশ্চিন্তিপুরের রুবন মুর্মু, ঢোলকাটার চুড়কো টুডুদের। ঢোলকাটা ও সাগরবাঁধির পঞ্চায়েত সদস্যা সোনালি মুর্মু ও মানি হাঁসদারা বলেন, “রায়পুর থেকে ঢোলকাটা প্রায় ৯ কিলোমিটার। ডেউচা থেকে ঢোলকাটা পর্যন্ত রাস্তা ১২ কিলোমিটার হবে। দু’টি রাস্তাই জেলা পরিষদের। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাপরিষদে জানানো হয়েছে। সব স্তর থেকেই আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে কাজ শুরু হবে। কিন্তু আজও বাস্তবায়িত হল না।”

এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, “জেলাপরিষদ বা সরকার আমাদের এলাকার পাথর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে। কিন্তু আমাদের এলাকার দিকে ফিরেও তাকায় না। না আগের সরকার আমাদের ভালমন্দ দেখেছে, না এই সরকার দেখছে। শুধু রাস্তা নয়। ধুলো দূষণের কারণে বহু মানুষ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। অথচ স্বাস্থ্য পরিষেবার তেমন ব্যবস্থা নেই। এলাকায় একটা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত নেই। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল না থাকা ও যোগাযোগের অভাবে এলাকার ছেলেমেয়েরা মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।” জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর সাফাই, “জেলার অধিকাংশ রাস্তা বেহাল ছিল। ইতিমধ্যে অধিকাংশ রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। মহম্মদবাজারের শিল্পাঞ্চলেও রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। ওই শিল্পাঞ্চলের বাকি রাস্তা ও অন্য পাথর শিল্পাঞ্চলের খারাপ রাস্তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। সব সংস্কার করা হবে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রায়পুর থেকে ঢোলকাটা রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিছুটা হয়ে তা বন্ধ আছে। খুব শীঘ্রই ওই রাস্তায় কাজ ফের শুরু হবে। দূষণ রোধ ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল গড়ার প্রশ্নে সভাধিপতি বলেন, “দূষণের ব্যাপারে ওই এলাকার লোকজনকে আরও সজাগ হতে হবে। স্কুলের ব্যাপারেও সরকার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে।”

Advertisement

ম্যারাখন। বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের ব্যবস্থাপনায় তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট পাঁচ মাথা মোড় পর্যন্ত সাড়ে সাত কিমি দৌড় হয়েছে শনিবার। পুরুষদের মধ্যে প্রথম হন নলহাটি থানার রাজীব মাল এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম হন রামপুরহাট থানার সুরজমণি মাড্ডি। প্রতিযোগিতারয় পুরুষ ও মহিলা মিলে সাড়ে পাঁচশর বেশি প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটে তাঁর দৌড় শেষ করেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন