ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

বিপিএল তালিকাভুক্ত এক বিধবা মহিলাকে অন্যায় ভাবে ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন গ্রামেরই একাংশ। খয়রাশোলের লাউবেড়িয়া গ্রামের ওই ঘটনায় সোমবারই অভিযোগকারীরা ডাকযোগে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিডিও যদিও জানিয়ে দিয়েছেন, নমিতা দত্ত নামে ওই মহিলার বাড়ি পাওয়া নিয়ে পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০৪
Share:

বিপিএল তালিকাভুক্ত এক বিধবা মহিলাকে অন্যায় ভাবে ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন গ্রামেরই একাংশ। খয়রাশোলের লাউবেড়িয়া গ্রামের ওই ঘটনায় সোমবারই অভিযোগকারীরা ডাকযোগে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিডিও যদিও জানিয়ে দিয়েছেন, নমিতা দত্ত নামে ওই মহিলার বাড়ি পাওয়া নিয়ে পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি নেই। এ দিকে, নমিতাদেবীর পাল্টা অভিযোগ, গ্রামে ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি। তার জেরেই তাঁর বাড়ি পাওয়া নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Advertisement

বাসিন্দাদের কী যুক্তি?

লাউবেড়িয়ার বাসিন্দা মিলন দত্ত, বামাপদ ঘোষ, মাধব দে, উমাশঙ্কর কবিরাজদের বক্তব্য, “নমিতাদেবী ইতিমধ্যেই ইন্দিরা আবাস যোজনায় তাঁর স্বামী আর এক আত্মীয়ের নামে তৈরি হওয়া বাড়ি পেয়েছেন। একটি বিক্রি করেছেন, অন্যটিতে এখনও থাকেন। তার পরেও প্রশাসন কীভাবে প্রাপ্য মানুষকে বঞ্চিত করে ওই মহিলাকে ফের একটি ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি দিচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না” একই অভিযোগ ওই সংসদের নির্বাচিত সিপিএম সদস্য স্বপনকুমার বাউড়ি এবং ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা খয়রাশোল পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান ভূপেন ঘোষেরও। ভূপেনবাবুর দাবি, “ইন্দিরা আবাসের প্রাপকদের তালিকায় নাম প্রথমে যখন ওঁর নাম দেখি, তখনই আপত্তি তুলেছিলাম। তবুও ওই মহিলা প্রথম কিস্তির সাড়ে ১৭ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন।” গোটা বিষয়ের তদন্ত দাবি করছেন অভিযোগকারীরা। বছর পঞ্চাশের ওই বিধবা মহিলা অবশ্য বলছেন, “যে বাড়িটি আমার দখলে রয়েছে বলা হচ্ছে, সেটা আদৌ বসবাসের উপযুক্ত নয়। বাড়িগুলির একটিও আমার নামে আসেনি। অত্যন্ত অর্থকষ্টের মধ্যে দুই ছেলে নিয়ে ভাইদের কাছে থাকি। গত পাঁচ বছর ধরে আবেদন করার পর আমার নামে বাড়ি মঞ্জুর হয়েছে।” তাঁর ক্ষোভ, সঙ্কীর্ণ গ্রাম্য রাজনীতির জন্যই প্রধান-সহ গ্রামের কিছু মানুষ অভিযোগ তুলেছেন।

Advertisement

এ ব্যাপারে খয়রাশোলের বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “একজন বিপিএল তালিকভুক্ত গরিব মানুষ যদি সরকারি প্রকল্পে আগে কোনও বাড়ি না পেয়ে থাকেন, তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ায় কোনও সমস্যা আছে বলে আমি অন্তত মনে করি না। নির্দিষ্ট ভাবে খোঁজ খবর করার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

কর্মশালা। ভারতীয় মানব বিজ্ঞান সর্বেক্ষণের উদ্যোগে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর পারম্পরিক বীজ ও পুথি অলঙ্কার তৈরির প্রশিক্ষণ শিবির ও কর্মশালা শুরু হয়েছে ইলামবাজারে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে ইলামবাজারের বনভিলাতে শুরু হওয়া ওই শিবিরে এলাকার আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা যোগ দিয়েছেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে পুরুষানুক্রমিক ভাবে কিংবা নিজের চাহিদা এবং তাগিদের কারণে বীজ ও পুথি অলঙ্কার তৈরির বিষয়ে যাঁরা পারদর্শী, সে রকম বেশ কিছু প্রতিনিধিকে এনে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আজ, বুধবার পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষণ শিবির ও কর্মশালা চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন