তৃণমূলের পতাকা হাতে যমুনা পাল। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে বিশেষ করে বামফ্রণ্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের একটা হিড়িক পড়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা বিস্তারের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা যেন দিনের পর দিন বাড়ছে। এরই মধ্যে যমুনা পাল নামে সোমবার ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, “রাজ্যে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি নিয়ে সংবাদমাধ্যম যতটা আলোচনা করছে লোকসভা ভোটে একক দল হিসেবে তৃণমূলের ৩৫টি আসন পাওয়া নিয়ে কোথাও আলোচনা হচ্ছে না। বিজেপির যদি উত্থান ঘটে থাকে, তা হলে এখন বিজেপি ছেড়ে তৃমূলে যোগ দিতে কেউ চাইত না।”’
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের পরে ২৭ আসনের ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে দলগত অবস্থান ছিল তৃণমূল ১৬, বামফ্রণ্ট ৮, বিজেপি ৩। ঝিকড্ডা পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির নির্বাচিত সদস্য যমুনা পাল এ দিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপি সদস্য সংখ্যা ২। পঞ্চায়েত ভোটে যমুনা পালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। সিপিএম, কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়ে বিজেপি থেকে যমুনা পাল ১১০ ভোটে জয়ী হন। মমতা পাল বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়ণমূলক কাজে সামিল হওয়ার জন্য দল পরিবর্তন করেছিল।” অন্য দিকে, দলের একজন জয়ী সদস্য দল ছেড়ে যাওয়ায় অবশ্যই ক্ষতিক্ষর বলে মনে করছেন বিজেপির জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। তিনি আরও বলেন, “যমুনা পালকে প্রার্থী করা নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল। জেতার পরে তাঁকে তৃণমূল নানা প্রলোভন দিয়েছিল। আমি জানতে পেরে দল থেকে চাপ দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথম থেকে ওঁর তৃণমূলে যাওয়ার প্রবণতা ছিল। সেটাই সত্যি হল। দলকে কোনও কিছু না জানিয়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ায় আমি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দাবি করছি।” এ দিনই বিকেলে এক অনুষ্ঠানে ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির ঝিকড্ডা পঞ্চায়েতের পাড়কাটা এলাকায় ঝিকড্ডা গ্রাম কোট গ্রামের সিপিএম সদস্য আব্দুস সামাদ, কৃষক সভার নেতা দীনবন্ধু মণ্ডল-সহ লোহা জঙ ও টেকেড্ডা এলাকার বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক তাদের দলের যোগ দিয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।