এ বার মাওবাদীদের নামে লিফলেট, উদ্বেগে পুলিশ

মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এ বার মিলল লিফলেট। অযোধ্যা পাহাড়তলির হেরোডি গ্রাম লাগোয়া রাস্তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও বুধবার সকালে মাওবাদী নামাঙ্কিত ওই সব প্রচারপত্র ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাদা কাগজে দুই পৃষ্ঠায় ছাপা লিফলেটের শেষে লেখা ‘সিপিআই (মাওবাদী)’-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি কর্তৃক প্রচারিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪০
Share:

মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এ বার মিলল লিফলেট। অযোধ্যা পাহাড়তলির হেরোডি গ্রাম লাগোয়া রাস্তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও বুধবার সকালে মাওবাদী নামাঙ্কিত ওই সব প্রচারপত্র ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাদা কাগজে দুই পৃষ্ঠায় ছাপা লিফলেটের শেষে লেখা ‘সিপিআই (মাওবাদী)’-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি কর্তৃক প্রচারিত। প্রচারপত্রের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর।

Advertisement

প্রকাশ্যে এই লিফলেট উদ্ধারের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও আসলে তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের। সম্প্রতি অযোধ্যা পাহাড়তলির বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত একাধিক পোস্টার ও ব্যানার পুলিশ উদ্ধার করেছে। এই প্রচারপত্রে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসার সঙ্গে সঙ্গে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বেকার ভাতা, কিষাণ মান্ডি, পুষ্টি বিষয়ক কেন্দ্র, ব্লকে ব্লকে ডাল-ভাত যোজনা-সহ নানা উন্নয়নের প্যাকেজ ঘোষণা করে চলেছেন। বাস্তবে সাধারণ মানুষের কাছে কত টুকু পৌঁছচ্ছে? পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বিদেশি পুঁজিপতিদের ডেকে এনে সমাধানের গল্প ছড়াচ্ছে তৃণমূল বলেও প্রচারপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, তৃণমূলের ‘রাজনৈতিক উপদেষ্টা’, রাজ্যসভার সদস্য কুণাল ঘোষ সারদা-কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, এমনকী তৃণমূলের বড় কিছু নেতা, মন্ত্রীরাও সরাসরি যুক্ত। লিফলেটে অভিযোগ করা হয়েছে, নানা কথা বলে ক্ষমতায় আসার পরে আগের বাম সরকারের মতো বর্তমান রাজ্য সরকারও ‘দমন নীতি’ প্রয়োগ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উদাহরণ হিসেবে এই প্রচারপত্রে জুনিয়র কনস্টেবল, এনভিএফ, হোমগার্ড, এক লক্ষ সিভিক পুলিশ প্রভৃতি নিয়োগ করে কাজ দেওয়ার নামে বাংলার যুবশক্তিকে ধোঁকা দেওয়া ও আন্দোলন দমন করাই উদ্দেশ্য বলেই জানানো হয়েছে। প্রচারপত্রে সমালোচনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।

এ দিন প্রচারপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “যে এলাকা থেকে ওগুলি মিলেছে, সেখানে মাওবাদীদের কিছু সমর্থক থাকতে পারেন। ওই অঞ্চলে তল্লাশি শুরু হয়েছে। হতে পারে, সেই ভয়ে কারও কাছে ওই ধরনের প্রচারপত্র ছিল, তিনি ফেলে দিয়েছেন।” মাওবাদীদের রাজ্য কমিটি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, এই কমিটির বিষয়ে আমাদের কাছে কোন খবর নেই।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন