এখনও হাতে নেই বেতন, ক্ষোভ বাঁকুড়ায়

আজ হবে, কাল হবে করে করে মাসের শেষ সপ্তাহ হাজির, অথচ এখনও হাতে বেতন পাননি বাঁকুড়া জেলার প্রায় তিন হাজার হাইস্কুল শিক্ষক। প্রতিবাদে বুধবার স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কিছু শিক্ষক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩৪
Share:

স্কুল পরিদর্শকের ঘরে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

আজ হবে, কাল হবে করে করে মাসের শেষ সপ্তাহ হাজির, অথচ এখনও হাতে বেতন পাননি বাঁকুড়া জেলার প্রায় তিন হাজার হাইস্কুল শিক্ষক। প্রতিবাদে বুধবার স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কিছু শিক্ষক। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাস থেকেই অনলাইন বেতন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সে জন্য জেলার সমস্ত শিক্ষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ স্কুল সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করে ‘ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার’ (এনআইসি)-কে পাঠায় জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর। এনআইসি সেই তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছে জেলার ‘লিড ব্যাঙ্ক’-এ। লিড ব্যাঙ্ক থেকে সেই বেতন পাঠিয়ে দেওয়ার কথা শিক্ষকদের অ্যাকাউন্ট থাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্কে।

Advertisement

কিন্তু শিক্ষকদের অভিযোগ, বিষ্ণুপুর ও খাতড়া মহকুমার শিক্ষকরা বেতন পেয়ে গেলেও সমস্যায় পড়েছেন বাঁকুড়া সদর মহকুমার শিক্ষকরা। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ওই লিড ব্যাঙ্কের গ্রাহক, তাঁরা ছাড়া অন্য ব্যাঙ্কের শিক্ষক গ্রাহকেরা এখনও বেতন পাননি। এ ক্ষেত্রে অনেকেই এই ঘটনাকে ওই লিড ব্যাঙ্কের ব্যবসা বাড়ানোর কৌশল বলেও অভিযোগ তুলছেন। কেন এমন হচ্ছে? এ বিষয়ে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাঁকুড়া শাখার ম্যানেজার শিবশঙ্কর মাইতির দাবি, “আমরা এনআইসি থেকে শিক্ষকদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে অনেক ভুল ভ্রান্তি রয়েছে। তাই অন্য ব্যাঙ্কের সফটওয়্যার সেই তথ্য গ্রহণ করছে না। ফলে তাঁদের বেতন হচ্ছে না। কিন্তু হোম ব্যাঙ্ক হওয়ায় লিড ব্যাঙ্কের নিজস্ব গ্রাহদের ক্ষেত্রে সেই অসুবিধা হচ্ছে না।

কবে মিটবে এই সমস্যা? তাঁর উত্তর, “কাজ চলছে। দু’একদিনের মধ্যেই ভুল তথ্য সংশোধন করে এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে।” এ দিনের বিক্ষোভের পুরোভাগে সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এর বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাখার সম্পাদক আশিস পান্ডে থাকলেও তৃণমূল শিক্ষাসেলের বেতন না পাওয়া শিক্ষকেরাও আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তৃণমূল শিক্ষাসেলের এক নেতাই বলছেন, “সরকার তাড়াহুড়োর মধ্যে অনলাইন স্যালারি সিস্টেম চালু করতে গিয়েই এই বিপদ ডেকে এনেছে। বরং ভোটের পরে এই পদ্ধতি চালু করলেই ভাল হত।”

Advertisement

আশিসবাবু বলেন, “ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভাবতে গিয়েই সাধারণ শিক্ষকদের সমস্যায় ফেলল রাজ্য সরকার। অদক্ষ কর্মীদের দিয়ে শিক্ষকদের তথ্য সিডিতে নথিবদ্ধ করতে গিয়েই এই ভুলত্রুটি হয়েছে। শীঘ্রই বেতন না হলে আন্দোলনে নামবো আমরা।”

জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দেবপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তথ্য সংক্রান্ত কিছু ভুল থাকাতেই এই সমস্যা। তবে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে আমাদের দফতর ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছেন।” শীঘ্রই শিক্ষকরা বেতন পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement