কাজ না দেওয়ার নালিশ

এলাকায় নির্মীয়মাণ কলেজে তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ মুরারই থানার মহুরাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় আদিবাসীদের। ওই এলাকার আদিবাসী গাঁওতা নেতা বলাই সর্দারের দাবি, “যে জমিতে কলেজ হচ্ছে সেই খাস জমি দীর্ঘদিন আন্দোলন করে এলাকার আদিবাসীরা রক্ষা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০২:০৬
Share:

এলাকায় নির্মীয়মাণ কলেজে তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ মুরারই থানার মহুরাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় আদিবাসীদের। ওই এলাকার আদিবাসী গাঁওতা নেতা বলাই সর্দারের দাবি, “যে জমিতে কলেজ হচ্ছে সেই খাস জমি দীর্ঘদিন আন্দোলন করে এলাকার আদিবাসীরা রক্ষা করেছে। তা না হলে ওই জমিতে এলাকার পাথর ব্যবসায়ী, মোরাম ব্যবসায়ীরা দখল করে ব্যবসা শুরু করে দিত। ওই জমিতে বসবাসকারী অনেক আদিবাসী এখনও পাট্টা এবং নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্পে গৃহ নির্মাণ বাবদ টাকা পায়নি। তবুও এলাকার আদিবাসীরা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে কলেজ নির্মাণের সময় কাজের দাবি করেছিল।” তাঁর অভিযোগ, “কিন্তু এলাকার তৃণমূল নেতা বিনয় ঘোষ নিজের দলের লোককে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন।” তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন বলাইবাবু।

Advertisement

মহুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা মুরারই ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিনয় ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, “অনেক কষ্ট করে মুরারই এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি পলিটেকনিক কলেজ গড়ার সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার নিয়েছে। যে জায়গায় কলেজ হচ্ছে তা সম্পূর্ণ খাস জায়গা। সেখানে অস্থায়ী ভাবে বসবাসকারী আদিবাসীদের পাট্টা দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মাত্র দু’জন যুবক নানানরকম ভাবে কলেজ নির্মাণের কাজে বাধার সৃষ্টি করছে। দিন কয়েক আগেও কাজের দাবিতে এসে এলাকার আদিবাসী এক যুবককে মারধর করে ওরা।” কাজ দেওয়া প্রসঙ্গে বিনয়বাবু বলেন, “কলেজ নির্মাণ করছে ঠিকাদারি সংস্থা। সেখানে ওরা কাদের কাজ দেবে, আর দেবে না সেটা তাদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাকে অহেতুক জড়ানো হচ্ছে।” মুরারই ১-র বিডিও আবুল কালাম বলেন, “আমার কাছে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। আর নির্মাম কাজে বাধা এলে নিশ্চই ওই সংস্থা আমাকে বলত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন