কারখানা বন্ধ, ফের অবরোধ

রাতের অন্ধকারে কর্মীদের বের করে দিয়ে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ চলছেই। মঙ্গলবার দিনভর রাস্তা অবরোধ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলের ফের অ্যালয় কারখানার কাজ হারানো শ্রমিকেরা। রাতে তাঁরা গেট আগলে বসেছিলেন, যাতে মালপত্র চুপিসারে চালান না হয়ে যায়। বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই ফের বিষ্ণুপুর-সোনামুখী রোড অবরোধ করে বসে পড়েন শ্রমিক-কর্মচারীরা। সঙ্গে চলে স্লোগান, কারখানা খোলার দাবি। তৃণমূল, সিপিএম এবং বিজেপি-র তিন শ্রমিক সংগঠন এ দিনও গলা মেলায় একই দাবিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৪
Share:

প্রশাসনকে পাশে চেয়ে। —নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে কর্মীদের বের করে দিয়ে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ চলছেই। মঙ্গলবার দিনভর রাস্তা অবরোধ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলের ফের অ্যালয় কারখানার কাজ হারানো শ্রমিকেরা। রাতে তাঁরা গেট আগলে বসেছিলেন, যাতে মালপত্র চুপিসারে চালান না হয়ে যায়। বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই ফের বিষ্ণুপুর-সোনামুখী রোড অবরোধ করে বসে পড়েন শ্রমিক-কর্মচারীরা। সঙ্গে চলে স্লোগান, কারখানা খোলার দাবি। তৃণমূল, সিপিএম এবং বিজেপি-র তিন শ্রমিক সংগঠন এ দিনও গলা মেলায় একই দাবিতে।

Advertisement

তবে, এ দিন ফের অবরোধের কথা জানাজানি হতেই সেখানে চলে আসেন মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) পলাশ সেনগুপ্ত, এসডিপিও পরাগ ঘোষ। শ্রমিক-কর্মী এবং তিন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে মহকুমাশাসককে দ্রুত কারখানা খোলার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দুর্গাপুরের পরে বিষ্ণুপুরে মহকুমাশাসকের দফতরেও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার দাবি ওঠে। মহকুমাশাসক তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, “কারখানা খোলার ব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। আজ, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর আলোচনা কী হয় দেখি। প্রয়োজনে বিষ্ণুপুরেও বসা যাবে।” তবে, সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে পথ অবরোধ কোনও সমাধানসূত্র হতে পারে না জানিয়ে অবরোধ তোলার আহ্বান জানান প্রশাসনিক কর্তারা। দুপুর দুটো নাগাদ বোঝানোর পরে অবরোধ ওঠে।

শালতোড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা আইএনটিটিইউসি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি স্বপন বাউরি, সিটু নেতা স্বপন ঘোষ এবং ভারতীয় জনতা মজদুর মোর্চার বিষ্ণুপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি অঞ্জন নাগচৌধুরীরা বলেন, “দুর্গাপুরের বৈঠকে আমরা অবশ্যই যাব। কিন্তু, এ দিন আমরা মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে রাখলাম, যে ভাবেই হোক কারখানা খুলতে হবে। প্রয়োজনে আপনার দফতরে ডাকতে হবে এই সংক্রান্ত বৈঠক।” তিনি আশ্বাস দেওয়ায় কর্মীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, “কারখানা না খোলা পর্যন্ত অবস্থান চলবে। মানুষের সাহায্য নিয়ে অবস্থানরত শ্রমিক-কর্মচারীদের খিচুড়ি খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন