এ বার থানায় ডেকে বর্ধমান-কাণ্ডে নিখোঁজ কদর গাজির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করল এনআইএ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নানুর থানায় পৌঁছয় এনআইএ-র তিন সদস্যের একটি দল। তার আগেই নানুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল কদরের তিন আত্মীয়কে। দুপুর ১টা পর্যন্ত থানার ভিতরেই কদরের দিদি আদুরি বিবি, ভগ্নিপতি কটাই শেখ এবং আর এক দিদি রেজিনা বিবিকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ওই তিন জনের সঙ্গেই এসেছিলেন গ্রামের কয়েক জন পরিচিত ব্যক্তিও। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পরে থানার ভিতর থেকে বেরোতেই সাংবাদিকেরা কদরের দিদিদের ঘিরে ধরেন। তখন পরিবারটি দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে আদুরি বিবিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের ক্ষোভ চাপা না রেখেই বলে ওঠেন, “আপনাদের কেন বলতে যাব? যা বলার ওঁদের (এনআইএ) তো বলেছি!” তিনি দাবি করেন, জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে বারণ করেছেন।
তবে, গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তিন জনের কাছেই কদরের স্ত্রী খালীদা এবং শিমুলীয়া মাদ্রাসায় পড়া তাঁদের অন্য তিন বোন ও স্বামীদের বিষয়ে নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। কিন্তু কদরের মায়ের মতোই আদুরি বিবিরাও গোয়ান্দাদের সামনে দাবি করেছেন, বহু দিন ধরে যোগাযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে বিশেষ কোনও তথ্য নেই। গোয়েন্দারা অবশ্য আদুরিদের ওই দাবি খতিয়ে দেখছে। ওই জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব মিটতেই এ দিনই নানুর থানায় পৌঁছন স্থানীয় কাজি মার্কেটের অন্যতম মালীক শুকুর শেখ। থানার ভিতরে তাঁকেও বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, শুকুরকে কাজি মার্কেটে তাঁর ভাড়াটিয়াদের নাম, ভোটার কার্ডের জেরক্স এবং মোবাইল নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে ৬০টি দোকানঘর নিয়ে কীর্ণাহারের ওই কাজি মার্কেট গড়ে ওঠে। মার্কেটের বর্তমান মালীক শুকুর শেখ এবং আজফার কাজি। ইতিমধ্যেই বর্ধমানে উদ্ধার হওয়া ন্যানো গাড়ির সূত্র থেকে আজফার কাজির ছেলে হিফজুল্লাকে আটক করেছিল এনআইএ। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।