ডাকবাংলো মোড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
আনিসুর রহমান যে দিন বেফাঁস মন্তব্য করলেন, সে দিন তার ভিডিওগ্রাফি করতে পারেননি তাঁরা। তার পর থেকেই যেন তাঁরা তটস্থ হয়ে রয়েছেন। ওঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট টিম’। মোটর বাইক মিছিলই হোক কিংবা সরকারি স্থানে পতাকা-ফেস্টুন বা বিতর্কিত বক্তব্য সব ক্ষেত্রেই বিধিভঙ্গ হচ্ছে কি না, তার দিকে জর রাখতে হচ্ছে এমসিসিকে।
আনিসুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন এক জন ক্যামেরাম্যান যুক্ত হয়েছে রামপুরহাট ১ ব্লকের ওই এমসিসি টিমে। বুধবার রামপুরহাটের ডাকবাংলা মোড়ে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ-এর একটি সভা ছিল। ৫টা বাজতেই সভাস্থলে গাড়ি নিয়ে হাজির হলেন এমসিসি টিমের চার সদস্য। সঙ্গে দু’জন ক্যামেরাম্যান। এক জন ভিডিওগ্রাফি শুরু করেন সভাস্থলের আশপাশ। মাইকের ব্যবহার, পতাকা, সভাস্থল, মঞ্চ সবই তাতে ধরা থাকবে। নজর রাখা হবে সভা ঘিরে সরকারি পোস্ট, টেলিফোন খুঁটিতে কোনও পতাকা বা মাইক বাঁধা হয়েছে কি না, তার-ও। প্রতিনিধিদের এক জনের নজরে এল লাইটপোস্টে মাইক বাধা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি লক্ষ করে নোট করলেন। এক কর্মীকে জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, পুলিশকে জানিয়ে ওই মাইক বাঁধা হয়েছে। এর পরেই এমসিসি দলের প্রতিনিধিরা কোনও আপত্তি না করে তাঁদের ক্যামেরাম্যানকে সেই মাইকের ছবি তুলে রাখতে নির্দেশ দিলেন।
দলের সদস্য তথা রামপুরহাট ১ ব্লকের দখলবাটি পঞ্চায়েতের কর্মী ইন্দ্রজিৎ ভাণ্ডারি বললেন, “আমাদের সবটাই রেকর্ডিং করে রাখতে হবে। কখন কে অভিযোগ করে বসে থাকবে, তখন জবাবদিহি আমাদেরই করতে হবে। তাই দায়িত্ব পালন করতে হবে।” এ কথা বলতে বলতেই ইন্দ্রজিৎবাবুর নজরে পড়ল সভাস্থলের বিপরীতে একটি টেলিফোন খুঁটিতে তৃণমূলের পতাকা টাঙানো আছে। তিনি ক্যমেরাম্যানকে তার ভিডিও-ও তুলে রাখার নির্দেশ দিলেন। প্রতিনিধিরা জানালেন, ভিডিও দেখার পরে ওগুলি খুলে ফেলার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। তাঁরা যদি তা খোলেন, তা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।