চাঙড় খসে জখম তিন স্কুলছাত্রী

স্কুলের ছাদের চাঙড় খসে মাথায় পড়ে জখম হল পঞ্চম শ্রেণির তিন ছাত্রী। সোমবার বিকেলে মেজিয়ার কানসাড়া জুনিয়ার হাইস্কুলের ঘটনাটি ঘটে। জখম ছাত্রী সপ্তমী বায়েন, হাসি বাউরি ও পাপিয়া বাউরি কানসাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “তিন ছাত্রীর মধ্যে সপ্তমী মাথায় চোট পেয়েছে। পাঁচটি সেলাই পড়েছে তার মাথায়। অন্যরা মাথায় ও হাতে অল্পবিস্তর চোট পেয়েছে।” তিন জনের মাথায় স্ক্যান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেজিয়া শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০১:২৪
Share:

স্কুলের ছাদের চাঙড় খসে মাথায় পড়ে জখম হল পঞ্চম শ্রেণির তিন ছাত্রী। সোমবার বিকেলে মেজিয়ার কানসাড়া জুনিয়ার হাইস্কুলের ঘটনাটি ঘটে। জখম ছাত্রী সপ্তমী বায়েন, হাসি বাউরি ও পাপিয়া বাউরি কানসাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “তিন ছাত্রীর মধ্যে সপ্তমী মাথায় চোট পেয়েছে। পাঁচটি সেলাই পড়েছে তার মাথায়। অন্যরা মাথায় ও হাতে অল্পবিস্তর চোট পেয়েছে।” তিন জনের মাথায় স্ক্যান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে কানসাড়া গ্রামের এই জুনিয়র হাইস্কুলটি চলছে। স্কুলের ভবন গড়া হয় পরের বছর ২০১০ সালে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩৪ জন ছাত্রছাত্রী এই স্কুলে পড়াশোনা করে। এ দিন দুপুরে স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ার পর্ব শেষ হওয়ার পরে ছাত্রছাত্রীরা সবে ক্লাসে গিয়ে বসেছিল। হঠাতই একটা বিকট শব্দ শুনে শিক্ষকেরা ক্লাসরুমে ছুটে গিয়ে দেখেন, ছাদের চাঙড় খসে পড়ে জখম হয়েছে তিন জন ছাত্রী। সঙ্গে তাদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রথমে মেজিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

চার বছর আগে গড়া ভবনের চাঙড় কীভাবে খসে পড়ল তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকেরা। স্কুলের টিচার ইনচার্জ পার্থসারথি নায়েক বলেন, “প্রথম থেকেই আমি এই স্কুলে রয়েছি। আগে কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এর পর এই স্কুলে ক্লাস নেওয়াও বেশ ঝুঁকির ব্যাপার।”

Advertisement

এ দিকে, স্কুল এই ক’দিনের মধ্যে স্কুলে চাঙড় খসে পড়ার ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে অভিভাবক সকলেই। মেজিয়া ব্লকের বিডিও সোমনাথ বিশ্বাস ইঞ্জিনিয়র নিয়ে ওই স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন ব্লকের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে। তিনি বলেন, “নতুন ভবনে এভাবে চাঙড় খসে পড়ার ঘটনা ঘটার কথা নয়। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছি। তারপরই এর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন