বিশ্বভারতীর পাঠভবনের আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে রবিবার ধৃত গবেষকের ঘর থেকে তারা একটি ডেস্কটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। পাশাপাশি রবিবারই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নির্যাতিতার এক সহপাঠীকেও। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত গবেষক ওই ছাত্রকে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি দেখিয়েছিল। এ দিনই আবার পুলিশ স্থানীয় একটি লজে গিয়ে তদন্ত করেছে। অভিযোগ, ওই লজে পাঠভবনের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ দিকে, অভিযোগ জানানোর পর থেকে নির্যাতিতা ছাত্রী হস্টেলে না ফিরে বাবার সঙ্গে রয়েছে। এ দিনই সন্ধ্যায় হস্টেলে ফিরে মেয়েটি তাঁর কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে গিয়েছে।
পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ভিন্ দেশী ছাত্রীর অভিযোগ, মোবাইলে জোর করে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও তুলে, তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিশ্বভারতীরই এক গবেষক তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে। দিন কয়েক আগে সহপাঠীদের কাছ থেকে মেয়েটি জানতে পারে ওই গবেষক ছাত্র তাঁর কিছু আপত্তিকর ছবি অন্যদের মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছে। এর পরেই আর চুপ না থেকে মেয়েটি গোটা ঘটনার কথা তাঁর পরিবারকে জানান। শুক্রবার ওই আবাসিক ছাত্রীর বাবা শান্তিনিকেতনে এসে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাতে পাঠভবনের অধ্যক্ষ পার্থ চক্রবর্তীকে নিয়ে বাবার সঙ্গে বোলপুর থানায় অভিযুক্ত পল্লি সংগঠন বিভাগের পল্লি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের গবেষক মহম্মদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। ঘটনাচক্রে, ওই গবেষকই বিশ্বভারতীর খাতায় অভিযোগকারী ছাত্রীর ‘লোকাল গার্জেন’। অভিযোগ পেয়ে রাতেই পুলিশ বাংলাদেশের নাগরিক ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করে। ধৃত ছাত্র অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। আজ, সোমবার বোলপুর আদালতে বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন নির্যাতিতা ছাত্রী।