জোড়া দেহ উদ্ধার নিয়ে ধন্দে পুলিশ

জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ধন্দ কাটেনি পুলিশের। বান্দোয়ানের শিরিষগোড়া গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার চাঁদমণি মুর্মু ও ফকির হাঁসদার দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু দেহ দু’টিতে পচন ধরায় শুক্রবার পুরুলিয়ার মর্গে নিয়ে গেলেও দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত করা যায়নি। দেহগুলি দুপুরে বাঁকুড়ার মর্গে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৪৫
Share:

জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ধন্দ কাটেনি পুলিশের। বান্দোয়ানের শিরিষগোড়া গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার চাঁদমণি মুর্মু ও ফকির হাঁসদার দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু দেহ দু’টিতে পচন ধরায় শুক্রবার পুরুলিয়ার মর্গে নিয়ে গেলেও দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত করা যায়নি। দেহগুলি দুপুরে বাঁকুড়ার মর্গে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু ওই দেহগুলির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কিছু জানাতে পারেনি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “চাঁদমণিকে খুন করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ফকিরের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।” বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদমণির দাদা ঈশান সরেন তাঁর বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে জানালেও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। ফকিরবাবুর পরিবারও এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি।

Advertisement

বান্দোয়ানের শিরিষগোড়া গ্রামে বুধবার সন্ধ্যা থেকে চাঁদমণি মুর্মুর বন্ধ দরজার ভিতর থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে ফকিরবাবু ও চাঁদমণির মৃতদেহ উদ্ধার করে। ফকিরবাবুর দেহ কড়িকাঠ থেকে ঝুলছিল, খাটে শুয়ে থাকা চাঁদমণির মুখ ও হাত ক্ষতবিক্ষত ছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, দিন দুয়েক আগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত করা নিয়ে এ দিন টানাহ্যাঁচড়া চলে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরুলিয়ায় দেহ দু’টি মর্গে নিয়ে গেলে এ ধরনের দেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক নেই বলে তাদের জানানো হয়। শুক্রবার দেহ দু’টি নিয়ে বাঁকুড়ায় যেতে হয়। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দোয়ান থেকে দু’টি দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু পচন ধরে যাওয়া ওই ধরনের দেহের ময়নাতদন্তের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক জেলায় নেই। বাঁকুড়ায় ফরেন্সিক বিভাগ রয়েছে। এ কারণে দেহ দু’টি বাঁকুড়ায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন