সারেঙ্গার নেতুরপুর পঞ্চায়েত। নিজস্ব চিত্র
গ্রামের সবক’টিই নলকূপই অকেজো। আগে জানিয়েও নলকূপ সারানো হয়নি, এই অভিযোগ তুলে এ বার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসেই তালাবন্দি করে রাখলেন গ্রামবাসী। প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে পাঁচ কর্মীকেও অফিসের ভিতরে আটকে রাখা হয়। সারেঙ্গা ব্লকের নেতুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সোমবারের ঘটনা। এ দিন বেলা ১১টা থেকে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান দীপালি দুলে, উপপ্রধান শীতল মাহাতো-সহ ৭ জনকে আটকে রাখা হয়। পরে প্রধানের তরফে নলকূপ সারানোর আশ্বাস পাওয়ার পরে দুপুর ১টা নাগাদ তালা খোলা হয়।
সারেঙ্গা ব্লকের নেতুরপুর পঞ্চায়েতের নতুনডি গ্রামে প্রায় ৪০০টি পরিবারের বসবাস। গ্রামে রয়েছে ৬টি নলকূপ। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৬টি নলকূপের মধ্যে পাঁচটি মাস খানেক আগে থেকেই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসীর পানীয় জলের জন্য ভরসা ছিল সবেধন নীলমণি একটি মাত্র নলকূপ। কিন্তু রবিবার থেকে তাও বিকল হয়ে যায়। ফলে পানীয় জলের চরম হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে।
গ্রামবাসী চঞ্চল মাহাতো, লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো, নেপাল দুলে, জলধর দুলেদের ক্ষোভ, “দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে তা সারানো হয়নি। একটি মাত্র নলকূপ থেকে পানীয় জল মিলছিল, সেটাও খারাপ হয়ে পড়ায় সবাই বিপাকে পড়েছি। বাধ্য হয়ে এখন কুয়োর জলই খেতে হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েতের কোনও হুঁশ নেই।” গ্রামবাসীর দাবি, পঞ্চায়েতের উদাসীনতার প্রতিবাদেই তাঁরা এ দিন অফিসে তালা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
নেতুরপুর পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি দুলে নতুনডি গ্রাম সংসদ থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। ওই গ্রামে নলকূপ খারাপ থাকায় যে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে প্রধানের দাবি, “নলকূপ সারানোর জন্য মিস্ত্রিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কয়েকদিন আগেই। কিন্তু যেখান থেকে নলকূপ সারানোর সামগ্রী নেওয়ার কথা সেখানে মালপত্র না থাকায় মিস্ত্রিরা কাজ করতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনও দোষ নেই।” তাঁর দাবি, এ দিন সকালে মিস্ত্রিরা ওই গ্রামে গিয়ে নলকূপ সারানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তারপরেও গ্রামের কিছু বাসিন্দা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে এসে গণ্ডগোল করেছেন।