মাধ্যমিকের প্রথম দিন রামপুরহাট হাইস্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলির যোগান দেওয়ার ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও, সেই একই দৃশ্য দেখা গেল জেলার অন্য স্কুলে। রামপুরহাট হাইস্কুল সহ-রামপুরহাট শহরে পরীক্ষা কেন্দ্রের যথেষ্ট পুলিশী ব্যবস্থা ছিল।
ঘটনা হল, প্রথম দিনের ঘটনার পর রামপুরহাট শহরে আজ সারাদিন শিক্ষা দফতর থেকে জেলা আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে রামপুরহাট মহকুমা এলাকার নলহাটি থানার যে সমস্ত স্কুল গুলিকে স্পর্শকাতর বলে জেলা শিক্ষা দফতর ঘোষণা করেছিল, সেই সমস্ত স্কুলগুলিতে রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস এবং রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। নলহাটি থানার ভগলদিঘি স্কুলে এসডিও নিজে ছাত্রদের প্যান্ট জামা পরীক্ষা করেছেন।
অন্যদিকে নলহাটি থানার ভদ্রপুর মহারাজা নন্দকুমার হাই স্কুলে টুকলি নিয়ে এসডিও এবং এসডিপিও সতর্ক করে আসলেও সেখানে দেখা গিয়েছে প্রাচীর টপকে বাঁশ দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি দেওয়া হচ্ছে। নলহাটি থানার মেহেগ্রাম স্কুলে টুকলি করতে বাধা দেওয়ার জন্য এক শিক্ষিকার সঙ্গে পরীক্ষা হলেই এক ছাত্রীর বচসা বেধে যায়। পরে অবশ্য সেন্টার সুপার ভাইজারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটে যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুফিয়ার রহমান বলেন, “আজকের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়েছে। জেলায় কোনও গণ্ডগোলের অভিযোগ নেই।”
অন্যদিকে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিন, ইংরেজি পরীক্ষায় প্রায় দেড়শোর মতো পরীক্ষার্থী গরহাজির রইল জেলাজুড়ে। মঙ্গলবার জেলা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষাতেও শতাধিক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তবে দু’দিনই নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ হয়েছে বলে পর্ষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ বছর জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০২৫২ জন। প্রথম দিন সোমবার ছিল বাংলা পরীক্ষা। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার আহব্বায়ক প্রবাল সামন্ত বলেন, “গত দু’দিন পরীক্ষা নিয়ে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষার থেকে এ দিন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।”
প্রথম দিন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ১২৪ জন। এ দিনের ইংরেজি পরীক্ষায় অনুপস্থিতের সংখ্যা ১৪৬ জন। সাঁইথিয়ার ছটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সাঁইথিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার দাস বলেন, “১৪৬ জন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে এখানকার ছটি কেন্দ্রেই ৪২ জন অনুপস্থিত ছিল।” কী কারণে মাধ্যমিকে এত অনুপস্থিতি? প্রবালবাবু বলেন, “সঠিক করে বলা যাবে না। তবে অসুখ বিশুখ সহ নানা কারণে অনেকেই সব সময় পরীক্ষা দিতে পারে না। এবার যেমন প্রথম দিন ২ জন, দ্বিতীয় দিন ৬ জন পরীক্ষার্থী হাসপাতালে থেকে এবং ১৮ জন পক্স গায়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।”