ট্রলার চালককে মারধর, শুকনায় আক্রান্ত পুলিশ

এক ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগে পুলিশের উপর চড়াও হল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করে। রবিবার বিকেলে মহম্মদবাজারের শুকনা গ্রামের কাছে, শেওড়াকুড়ি-দুমকা সড়কের ঘটনা। আহত ট্রাক চালককে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এ দিন বিকেলে শুকনাগ্রামের চালকলের কাছে ১৮ চাকা ওই ট্রলার গাড়ির সঙ্গে পুলিশের বচসা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গাড়িটি দুমকার দিকে যাচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৪ ০১:১৮
Share:

শেওড়াকুড়িতে উল্টে পড়ে রয়েছে পুলিশের গাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।

এক ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগে পুলিশের উপর চড়াও হল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করে। রবিবার বিকেলে মহম্মদবাজারের শুকনা গ্রামের কাছে, শেওড়াকুড়ি-দুমকা সড়কের ঘটনা। আহত ট্রাক চালককে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এ দিন বিকেলে শুকনাগ্রামের চালকলের কাছে ১৮ চাকা ওই ট্রলার গাড়ির সঙ্গে পুলিশের বচসা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গাড়িটি দুমকার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার একটু আগে পুলিশের একটি দল ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করা গাড়ি থেকে টাকা তুলছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। পুলিশকর্মীরা ট্রালারটিকেও হাত দেখিয়ে থামতে বলে ন। যদিও ট্রলারটি না থেমে এগিয়ে যায়। তখন গাড়িতে তাড়া করে পুলিশ ট্রলারটিকে ধরে ফেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামিয়ে ওই ট্রলারের চালককে পুলিশ কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে। তাতেই ক্ষোভ ছড়ায়। গ্রামবাসীদের একাংশ চালককে মারধরের প্রতিবাদ করলে পুলিশ ওই আহত চালককে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষজন পথ অবরোধ করেন। এরপরে ফের পুলিশ এলে জনতার ক্ষোভ আরও বাড়ে। তাঁরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তার ধারে উল্টে দেয়। প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মী আহতও হন।

পুলিশ অবশ্য টাকা তোলা এবং চালককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই রাস্তাটি ঝাড়খণ্ডের বর্ডার। ওখানে পুলিশ নিয়মিত চেকিং করে। এ দিনও চেকিং চালানোর সময় ওই ট্রলারের চালক অহেতুক পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিবাদ করে। তাই নিয়েই একটু ঠেলাঠেলি হয়। যে কোনও কারণেই হোক, ওই গাড়ির চালক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যেই গ্রামের লোকজন এসে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেন।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “মহম্মদবাজারের ঘটনায় কোনও পুলিশ কর্মী অন্যায় কিছু করে থাকলে, যে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু তা বলে পুলিশের উপরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন