ডাইন অপবাদে দম্পতিকে গ্রামছাড়ার অভিযোগ

ডাইন অপবাদে আগেই মারধর করা হয়েছিল। চিকিৎসা করিয়ে কয়েকদিন পরে গ্রামে ঢুকলে ফের মারধর করে তাড়ানো হয় একটি আদিবাসী পরিবারকে। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বালিগুমা গ্রামের পচা সরেন নামের ওই আদিবাসী যুবক রবিবার থানায় গ্রামের মোড়ল ও তিন মহিলা-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৫
Share:

ডাইন অপবাদে আগেই মারধর করা হয়েছিল। চিকিৎসা করিয়ে কয়েকদিন পরে গ্রামে ঢুকলে ফের মারধর করে তাড়ানো হয় একটি আদিবাসী পরিবারকে। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বালিগুমা গ্রামের পচা সরেন নামের ওই আদিবাসী যুবক রবিবার থানায় গ্রামের মোড়ল ও তিন মহিলা-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বাঁকুড়ার পুলিশসুপার মুকেশ কুমার বলেন, “পরিবারটিকে গ্রামে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।” জয়পুরের বিডিও মহম্মদ মারগুম ইলমিও আশ্বাস দিয়েছেন, কুসংস্কার দূর করতে ওই গ্রামে সচেতনতা শিবির করা হবে।

Advertisement

আদিবাসী প্রধান ওই গ্রামে স্ত্রী জ্যোৎস্না ও দুই মেয়েকে নিয়ে পচার বাস। তাঁর অভিযোগ, “গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে ঘর থেকে বেরোতেই গ্রামের কয়েকজন আমাকে ডাইন বলে অপবাদ দিয়ে মারধর করে। স্ত্রী ও মেয়েদেরও মারধর করে। চিকিৎসা করাতেও যেতে দেয়নি।” তিনি জানান, পরের দিন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থেকে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে তাঁর কয়েক দিন চিকিৎসা চলে। গত শুক্রবার তাঁরা গ্রামে ফেরেন। তাঁর অভিযোগ, “সে দিনই সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ল ও কিছু বাসিন্দা সালিশি সভা ডেকেছিল। আমি জানতাম ডাইন অপবাদ দিয়ে ওরা আবার আমাকে হেনস্থা করত। তাই যাইনি।” তাঁর দাবি, রাগে পরের দিন কিছু লোক তাঁদের ঘর থেকে বের করে দেয়। সে দিনই তিনি সপরিবারে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, রাতেই পুলিশ তাঁদের গ্রামে ফেরাতে যায়। কিন্তু গ্রামের মুখে কিছু বাসিন্দা পুলিশের গাড়ি আটকে দেন বলে অভিযোগ।

মোড়ল ফকির সরেন-সহ অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রামে পাওয়া যায়নি। বাসিন্দাদের দাবি, ওরা পালিয়েছে। দুই গ্রামবাসী গোবিন্দ সরেন ও শঙ্কর মান্ডি দাবি করেন, “রাত ১২টায় ত্রিশূল ও লোহা নিয়ে গণ্ডী দিচ্ছিল পচা। তাতেই গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন