ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন কাকা-ভাইপো। ঘটনাটি পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার তালাজুড়ি গ্রামের। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকেই বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জনের শরীরে ৭০টির মতো সেলাই করতে হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালাজুড়ি গ্রামের মোড়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা পানুলাল কর্মকারের। তাঁরা রোজই দোকানে ঘুমোতে আসেন। গরমের কারণে সোমবার রাতে ভাইপো রূপলালকে সঙ্গে নিয়ে দোকানের ছাদে শুয়েছিলেন কাকা। গভীর রাতে জনা আটেক দুষ্কৃতী ওই দোকানে হানা দেয়। আওয়াজ শুনে কাকা-ভাইপো নীচে নেমে আসেন। বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। দু’জনকেই তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাঁদের চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানে ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় তালাজুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বাঁকুড়ায় স্থানান্তর করা হয়। ৭০টির মতো সেলাই করতে হয়েছে। রাতেই তদন্তে গ্রামে গিয়েছিল কাশীপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তদন্তে যান কাশীপুর থানার ওসি। পুলিশ জানায়, সকালের দিকে গ্রামের অদূরে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় লুঠ হওয়া সামগ্রীর কিছু জিনিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, মাঝে মধ্যেই এলাকায় চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এলাকায় রাতের দিকে পুলিশের টহল দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এসডিপিও (রঘুনাথপুর) পিনাকী দত্ত বলেন, “দুষ্কৃতীরা দু’জনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তবে নিছকই ডাকাতির উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতীরা এসেছিল না কি পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।” তবে পরিবারের তরফ থেকে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।