খাওয়ার আগে না পরে, কখন ও কী ভাবে গুড় খেলে লাভ হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
চিনি ছাড়া ডায়েট এখন খুব জনপ্রিয়। বিশ্ব জুড়েই চলছে ‘নো সুগার ক্যাম্পেন’। সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছেন বাঙালিরাও। ভোজনরসিকেরাও এখন চিনি ছাড়া স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খেতে শিখে গিয়েছেন। আর সে কারণেই চিনির বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে গুড়। সকালের চা-ও গুড় দিয়ে বানানো হচ্ছে অনেকের বাড়িতে। রান্নাতেও চিনির বদলে দেওয়া হচ্ছে গুড়। এখন কথা হল, গুড় কখন ও কী ভাবে খেলে উপকার বেশি হবে। সুগার রয়েছে যাঁদের, তাঁরা যখন তখন গুড় খেয়ে নিলে কিন্তু রক্তে শর্করা বাড়বে। কোন সময়ে গুড় খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।
গুড় কখন খেলে উপকার বেশি, খাওয়ার আগে না পরে?
সুগার যাঁদের নেই তাঁরা খাওয়ার পরে গুড় খেলেই উপকার বেশি পাবেন। দুপুরে বা রাতের খাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে এক টুকরো গুড় খেলে হজম ভাল হবে, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গুড় বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে। শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয়। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আর থাকে জ়িঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। প্রতি দিন খাওয়ার পরে যদি সামান্য পরিমাণে গুড় খাওয়া যায়, তা হলে সেটি অম্বল কমাতেও সহায়ক হবে। আবার যদি ওজন কমাতে চান, তা হলে সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস ও মধুর বদলে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বাড়তি ক্যালোরি ঝরবে। ওজনও কমবে।
সুগার থাকলে গুড় কখন খাবেন?
সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে বুঝেশুনেই গুড় খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে গুড় খাওয়া উচিত হবে না। যদি খেতেই হয়, তবে দুপুরের বা রাতের খাওয়ার পরে খুব সামান্য পরিমাণে ৫-১০ গ্রাম গুড় খাওয়া যেতে পারে। তবে যদি সুগার অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তা হলে গুড় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কী ভাবে খাবেন?
১)আধ চামচ জোয়ানের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে হজম ভাল হবে।
২) সুগার থাকলে গুড় শুধু না খেয়ে এর সঙ্গে ছোলা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে, অতিরিক্ত শর্করার শোষণ হবে।
৩) ঈষদুষ্ণ জলে আদার রস ও গুড় মিশিয়ে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমবে।
৪) শীতকালে তিল ও গুড় খাওয়া সুগারের রোগীদের জন্য ভাল।