কেন দেরি হল আসতে। এর প্রতিবাদে খড়ের চালা বাড়ির আগুন নেভাতে আসা পুলিশ ও দমকলকর্মীদের উপর চড়াও হলেন বাসিন্দারা। ভাঙচুর চালানো হল দমকলের ইঞ্জিনে। জখম হলেন ১০ জন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সাদাইপুর থানা এলাকার নারায়ণপুর গ্রামে। জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, “আহতদের মধ্যে দু’জন দমকলকর্মী সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। একজন পুলিশ কর্মীর আঘাতও গুরুতর। বাকিদের প্রথমিক চিকিত্সা করানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা শেখ আলিমের খড়ের ছাউনি কোঠা বাড়িতে আগুন লাগে মঙ্গলবার রাতে। ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ খবর গিয়েছিল স্থানীয় সদাইপুর থানা এবং সিউড়ির দমকল বাহিনীর কাছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরত্বে দমকলের ইঞ্জিনটি পৌঁছে গিয়েছিল রাত ৯টার আগেই। কাছাকাছি থানা থাকায় পুলিশ পৌঁছেছিল তারও আগে। কিন্তু দমকল কর্মীরা ইঞ্জিন লাগিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে যাবেন, সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু মানুষ পুলিশ ও দমকল কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে আভিযোগ। দমকল কর্মীদের অভিযোগ, চালক-সহ ৭ জন কর্মী এসেছিলেন। কাউকেই ছাড়েননি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। যার ফলে আগুন নেভানোর কাজেও বাধা সৃষ্টি হয়। দমকল কর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রাম্ত হন পুলিশ কর্মীরাও। পরে আরও পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামল দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আলিমের ঘরটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছে গবাদি পশুও। শেখ আলিমের কথায়, “কেন হঠাত্ স্থানীয় বাসিন্দারা এভাবে আক্রমণ করলেন দমকল ও পুলিশ কর্মীদের উপরে সেটা ভাবনার বাইরে।” অবশ্য শেখ আলিমের বিরুদ্ধে সদাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দমকলকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র বলেন, “সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া ও তাঁদেরকে মারধর করা অত্যন্ত অন্যায়। তবে প্রকৃত দোষীরা যাতে সাজা পায় সেটা দেখতে হবে প্রশাসনকে।” জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির কান জানিয়েছেন, আক্রমণে জড়িতদের খুঁজতে ফের অভিযান চালাবে পুলিশ।