প্রতীক্ষালয়, শৌচাগারের দাবি পাত্রসায়রে

একে ব্লক সদর, তার উপরে এলাকার সবচেয়ে বড় সব্জি বাজার। এ সব কারণে পাত্রসায়রে বহু মানুষের যাতায়াত থাকলেও এখানে সাধারণের ন্যূনতম সুবিধাটুকু নেই। পাত্রসায়র বাজারে নেই শৌচাগার, নেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়। ফলে বাসিন্দারা তো বটেই দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষজন খুব সমস্যায় পড়ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪৪
Share:

একে ব্লক সদর, তার উপরে এলাকার সবচেয়ে বড় সব্জি বাজার। এ সব কারণে পাত্রসায়রে বহু মানুষের যাতায়াত থাকলেও এখানে সাধারণের ন্যূনতম সুবিধাটুকু নেই। পাত্রসায়র বাজারে নেই শৌচাগার, নেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়। ফলে বাসিন্দারা তো বটেই দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষজন খুব সমস্যায় পড়ছেন। বাজারে বা বাস ধরতে আসা মানুষজন- সকলেই পাত্রসায়র বাজারে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার তৈরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রোজ এই এলাকায় কত মানুষ আসেন। কিন্তু শৌচাগার ও যাত্রী প্রতীক্ষালয় তা হলে কেন থাকবে না? প্রশাসনের এই বিষয়টিতে নজর দেওয়া দরকার। ফলে নিতান্ত বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে যত্রতত্র প্রস্রাব করছেন অনেকেই। আর যাত্রী প্রতিক্ষালয় না থাকায় রাস্তার পাশেই দোকানের সামনে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

Advertisement

এলাকার ব্যবসায়ী চন্দন দত্ত, লাল্টু চন্দ্র, শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন সকালে এলাকার বহু মানুষ পাত্রসায়র বাজারে সব্জি কিনতে আসেন। দিনরাত অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। বহু যাত্রী বাস ধরার জন্য এখানে আসেন। কিন্তু যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার না থাকায় সবার অসুবিধা হচ্ছে। প্রতীক্ষালয় না থাকায় রাস্তাতেই বাসের অপেক্ষায় মানুষজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। রাস্তার পাশে এবং দোকানের পিছনে প্রস্রাব করছেন অনেকেই। ফলে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।” তাঁদের দাবি, বাজারে একটা যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার তৈরি হলে সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। পাত্রসায়র পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সুব্রত কর্মকার সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। সুব্রতবাবু বলেন, “এলাকার মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা সর্বপ্রকার চেষ্টা করছি। বাজারে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার তৈরির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ার জন্যই ওই কাজ করা যাচ্ছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন