লোহাপুরে বিজেপির বিক্ষোভ।
বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা হাট সংলগ্ন কাঞ্চনা মোড়ের ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরাই তাঁদের তিন কর্মীকে মারধর করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পক্ষই অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজেপি-র অভিযোগ, এ দিন রাত ১০টা নাগাদ তৃণমূলের বেশ কিছু লোক কাঞ্চনা গ্রামের বুদ্ধদেব ভল্লার পোলট্রি মুরগির দোকানে চড়াও হয় এক দল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সেখানে তখন হাজির ছিলেন গ্রামেরই আর এক বিজেপি সমর্থক শঙ্কর ভল্লা। বিজেপি-র জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের অভিযোগ, “বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জটিল মণ্ডলের মদতে তাঁর দলের লোকজন বুদ্ধদেব এবং শঙ্করের উপর চড়াও হয়। তাঁদের বেধড়ক মারধর করার পরে তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতীরা বুদ্ধদেবের দোকান এবং শঙ্করের বাড়ি ও তাঁর মোটরবাইকও ভাঙচুর করে।” তাঁর দাবি, ফের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগটুকু করতে পারছেন না। তবে, দলের পক্ষ থেকে শীঘ্রই এ নিয়ে অভিযোগ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জটিলবাবুর পাল্টা দাবি, অভিযোগকারীরাই মরগির পালক ও বর্জ্র পদার্থ-সহ মদের বোতল ফেলে তাঁদের এক দলীয় সমর্থকের বাড়ির পরিবেশ দূষিত করছিলেন। বারবার বলা সত্ত্বেও তারা নিজেদের শোধরাননি। জটিলবাবুর অভিযোগ, “রবিবার রাতে একই ঘটনা ঘটায় তাঁদের এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁরা আমাদেরই তিন কর্মী-সমর্থককে মারধর করে। এখনও নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
আলোচনাসভা। মাদক বিরোধী অভিযানে পথে নামল ময়ূরেশ্বরের বীরনগরী মিলন সঙ্ঘ। রবিবার ক্লাবের সদস্যেরা ‘আদর্শ গ্রাম’ গড়ার লক্ষ্যে গ্রামে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেন। হাজির ছিলেন ময়ূরেশ্বর ২ বিডিও সৈয়দ মাসুদুর রহমান। ক্লাবের সম্পাদক রামকৃষ্ণ মণ্ডল জানান, আদর্শ গ্রাম গঠনের লক্ষ্যে মাদক দ্রব্য বর্জনের পাশাপাশি সর্ব শিক্ষার প্রসারেও কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।