বিধায়কের পথে তৃণমূলে কংগ্রেস নেতারা

জেলার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মাল ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তাঁর পথ ধরেই হাঁসন কেন্দ্রের মধ্যে বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ কংগ্রেসের ৬ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন বুধবার। এ দিন দুপুরে তারাপীঠে অবস্থিত তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লক ভবনে বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের ৬ জন সদস্য ছাড়াও বামফ্রণ্টের দু’জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৪ ০০:৩০
Share:

জেলার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মাল ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তাঁর পথ ধরেই হাঁসন কেন্দ্রের মধ্যে বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ কংগ্রেসের ৬ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন বুধবার। এ দিন দুপুরে তারাপীঠে অবস্থিত তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লক ভবনে বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের ৬ জন সদস্য ছাড়াও বামফ্রণ্টের দু’জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ১৮ সদস্যের বুধিগ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এক জন সদস্য মারা যাওয়ার জন্য ১৭ সদস্য নির্বাচিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ১৭ সদস্যের মধ্যে কংগ্রেস ৭ , তৃণমূল ৩, ফব ১, আরসিপিআই ১, সমাজবাদী দল ১, সিপিএম ৪ ছিল। কংগ্রেসের প্রধান হয়। লোকসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের চেয়ে ৬৭০ ভোটে প্রথমে এগিয়ে ছিল। বুধবার সেই বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের ৬ এবং বামফ্রণ্টের ২ জন সদস্য (ফব ১, আরসিপিআই ১) তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে আগামী দিনে বুধিগ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের হাত ছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় দলত্যাগ করে আসা সদস্যদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। সুকুমারবাবু বলেন, “শুধু পঞ্চায়েত সদস্যরা নন, কংগ্রেসের বুধিগ্রাম অঞ্চল সভাপতি সেন্টু শেখের নেতৃত্বে এলাকার প্রচুর কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে ওই এলাকায় আমরা মনে করি কংগ্রেস বলে আর কেউ থাকল না।” সেন্টু শেখ বলেন, “অসিত মাল আমাদের ৫ বারের বিধায়ক ছিলেন। তিনি যখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তখন আমরা তাঁর পিছনে থাকতেই তৃণমূলে যোগ দান করেছি এবং আমাদের সঙ্গে দলের সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য আছেন।”

কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির প্রতিক্রিয়া, “পঞ্চায়েতে পুকুর চুরি করে এখন ভিটে মাটি চুরি করার জন্য তৃণমূলে সুবিধাবাদীদের দলে টানছে। এতে দলের কোনও ক্ষতিই হবে না বলে আমি মনে করি।” সিপিএম নেতা সঞ্জীব বর্মন বলেন, “তৃণমূল নেতাদের কাছে এখন নৈতিকতার কোনও বিভেদ রেখা নেই। এখন তাদের কাছে রাজনীতি মানে লুট আর লুট।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন