চলছে লাইনচ্যুত কামরা তোলার কাজ। —নিজস্ব চিত্র
স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ল নুন বোঝাই মালগাড়ির একটি কামরা। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের পুরুলিয়া স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে।
এর ফলে বেলা ১১টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আপ ও ডাউন লাইলে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। বিভিন্ন স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ট্রেন। এর জেরে এ দিন ট্রেনযাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দ মিত্তল বলেন, “পণ্যবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। পরে দু’টি লাইনেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।” তিনি জানান, কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছে। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত হবে। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা প্রায় ১১টা নাগাদ একটি পণ্যবাহী ট্রেন বোকারো থেকে টাটানগর যাওয়ার পথে পুরুলিয়া স্টেশনের কাছে (রেলের পরিভাষায় প্যানেল এলাকায়) আপ লাইনে একটি বগি বেলাইন হয়। এর প্রভাব পড়ে ওই লাইনের ট্রেন চলাচলে। সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে আনাড়া স্টেশনে। আসানসোল-টাটানগর মেমু প্যাসেঞ্জার আটকে যায় ছড়রায়। ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার থামিয়ে দিতে হয় পুরুলিয়ায়য়। পণ্যবাহী ট্রেনটির একটি বগি এমন ভাবে পড়ে থাকে যে আপ এবং ডাউন দু’টি লাইনেই ট্রেন চালানো যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দ মিত্তল। তাঁর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করেন কর্মীরা। বেলা প্রায় দেড়টা নাগাদ ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। অনেক দেরিতে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি গন্তব্যে রওনা দেয়। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়।
এ দিকে, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলেও কখন ট্রেন ছাড়বে তা জানতে না পারায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। তবে কোথাও তা মাত্রা ছাড়ায়নি বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। খড়গপুর-হাতিয়া প্যাসেঞ্জার, বর্ধমান-পুরুলিয়া ট্রেন আদ্রা পযর্ন্ত চালানো হয়। হাতিয়া-খড়গপুর প্যাসেঞ্জার মুরির পরে এ দিন চালানো যায়নি।