বাংলাদেশ ভবনের জমি পরিদর্শন

বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই বাংলার মধ্যে আদানপ্রদান আরও সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বভারতীর যৌথ উদ্যোগে আগেই শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার প্রস্তাবিত সেই ভবনের জমি সরেজমিনে দেখে গেলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মেহেবুব হাসান সালেহ। কয়েক মাস আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লি এলাকায় দুই বিঘা ওই জমিকে প্রস্তাবিত ভবনের চিহ্নিত করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৪ ০০:২২
Share:

বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই বাংলার মধ্যে আদানপ্রদান আরও সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বভারতীর যৌথ উদ্যোগে আগেই শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার প্রস্তাবিত সেই ভবনের জমি সরেজমিনে দেখে গেলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মেহেবুব হাসান সালেহ। কয়েক মাস আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লি এলাকায় দুই বিঘা ওই জমিকে প্রস্তাবিত ভবনের চিহ্নিত করেছিলেন। গত ১০ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা গহর রিজভি এবং তাঁর দফতরের আধিকারিকেরা বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের সঙ্গে বাংলাদেশ ভবন নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক সেরে গিয়েছিলেন। এ দিন পরিদর্শনের পরে মেহবুব হাসান সালেহ বলেন, “দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের জন্য চিহ্নিত জমি দেখে গেলাম। খুব শীঘ্রই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ শুরু হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দুই বাংলা জুড়েই আছেন। এমন উদ্যোগ আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।”

Advertisement

বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ডি গুণশেখরণ জানিয়েছেন প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবনে থাকবে একটি প্রদর্শশালা, গবেষণা কেন্দ্র, আর্ট গ্যালারি, বিশ্রামাগার এবং বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের নামে একটি স্টাডি সেন্টার। এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্য বিশ্বভারতীতে প্রথম নয়। রবীন্দ্রনাথের আমলে চিন সরকারের সঙ্গে যৌথ প্রয়াসে চিনা ভাষা পঠনপাঠনের জন্য চিনা ভবন এবং জাপানি ভাষা-সংস্কৃতি পাঠের জন্য নিপ্পন ভবন গড়ে উঠেছিল। এত বছর পর বিদেশের সঙ্গে আবার তাঁরা এই ধরনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও সম্প্রতি ভবন তৈরির ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবেও সায় দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন