বিশ্বভারতী নিয়ে রাজ্যপালের কাছে উপাচার্য

বিশ্বভারতীতে কর্মবিরতি সত্ত্বেও পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বভারতীর আসন সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। মঙ্গলবার তিনি রাজ্যপাল তথা বিশ্বভারতীর রেক্টর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

বিশ্বভারতীতে কর্মবিরতি সত্ত্বেও পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বভারতীর আসন সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। মঙ্গলবার তিনি রাজ্যপাল তথা বিশ্বভারতীর রেক্টর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সঙ্গে দেখা করেন। বিকেলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল তথা রেক্টর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে সংরক্ষণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি অনুসরণ করার উপরে জোর দিয়েছেন।

Advertisement

অধ্যাপক সভা, কর্মী সভা এবং আধিকারিক সভার সদস্যরা অবশ্য কোটা বজায় রাখার দাবিতে অনড়। মঙ্গলবার তাঁদের কর্মবিরতির ফলে এ দিন বিশ্বভারতীতে সর্বত্র বন্ধের ছবি দেখা যায়। সকাল ৭টা থেকে আন্দোলনকারীরা জড়ো হন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। গোটা বিশ্বভারতী চত্বরে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। রবীন্দ্রভবনও বন্ধ ছিল। তবে বেশ কিছু ভবনের একাধিক বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে। এ দিন বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, অধ্যাপক সভা, আধিকারিক সভা এবং কর্মিসভার একাংশ এ দিন পঠনপাঠনের কাজ ব্যাহত করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কথা জানাজানি হলে ক্ষোভ দেখা দেয় আন্দোলনকারীদের মধ্যে।

কী ব্যবস্থা নেবে বিশ্বভারতী? উপাচার্য এ দিন বলেন, “ছুটি না নিয়ে কাজ বন্ধ করা যায় না। কারা ছুটির আবেদন না করে কাজে আসছেন না, সেই তথ্য চেয়েছি।” তাঁর দাবি, শিক্ষাসত্র বা পাঠভবনের জন্য ‘কোটা’ রাখলে যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসি সংক্রান্ত কোটা লঙ্ঘিত হচ্ছে, বহু আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে, তা তিনি আগেই ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “কোটা বজায় রাখার দাবি অযৌক্তিক, অনৈতিক।”

Advertisement

উপাচার্য বলেন, “রাজ্যপালকে জানিয়েছি, বিশ্বভারতী ক্রমশ স্থানীয় (লোকাল) প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। সেখানে সব নিয়োগও হয় স্থানীয়দের মধ্যে থেকে। এক এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তি চাকরি পান।” তাঁর অভিযোগ, শান্তিনিকেতনের মানুষ মনে করেন, পাঠভবনের প্রথম শ্রেণিতে পড়তে ঢুকে শেষে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তাঁদের অধিকার। “রবীন্দ্রনাথের কথা বলে এই অন্যায়কে সমর্থনের চেষ্টা চলছে। রবীন্দ্রনাথ প্রথাগত পড়াশোনা হয়তো করেননি, কিন্তু তিনি মেধা, উৎকর্ষকে মূল্য দিতেন না, এমন মনে করার কারণ নেই,” বলেন সুশান্তবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন