বিপজ্জনক সেতু। —নিজস্ব চিত্র
মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ জাতীয় সড়কের উপর মহম্মদবাজারের কুলে নদীর সেতুর একটা অংশ বসে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হল। বৃহস্পতিবারের ঘটনা।
সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই সেতুটির অবস্থা খারাপ। বিভিন্ন অংশে ঢালাই খসে পড়েছে। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে নীচের অংশেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ দিন সকালে সেতুটির ডান দিকের বেশ কিছুটা অংশ বসে যাওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পাথর দিয়ে মোরমতের চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের জন্য তাঁরাই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে প্রশাসন ওই সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। গ্রামবাসী মতুজা হক, সজল শেখরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সেতুর একটি বড় অংশ বসে গিয়ে ফাটল তৈরি হয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাঁরা যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এর ফলে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
পেরে সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সড়ক দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার এবং নির্মাণ কর্মীদের একটি দল। তাঁরা সেতুটিকে সরেজমিনে দেখে বসে যাওয়া অংশটি ঘিরে দেন এবং সেতুর এক পাশ দিয়ে হালকা গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে যাতে ভারী গাড়ি যেতে না পারে তা দেখার জন্য পুলিশও মোতায়েন হয়। সিউড়ি থেকে রামপুরহাটের দিকে যেতে এই সেতুটিই ভরসা আশপাশের বাসিন্দাদের। তাই এই সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন গাড়ি চালকেরা। রানিগঞ্জের ট্রাক চালক মুশেদ আলি বলেন, “পাথর ভর্তি গাড়ি নিয়ে সারা রাত জেগে আছি।” একই অবস্থা, রামপুরহাট, সিউড়ি, পাঁচামির থেকে আসা ভারী গাড়িগুলিরও।
জাতীয় সড়কের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নীরজ সিংহ বলেন, “সকাল ১০টা নাগাদ রুটিন চেকিং-এ বেরিয়ে ছিলাম। ওই সেতুর কাছে গিয়ে দেখি, সেখানে সেতুটির একটা বড় অংশ বসে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে ফোন করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে হালকা গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার কলকাতা থেকে সেতু বিশেষজ্ঞরা আসবেন। তাঁরা দেখার পরে মেরামতির কাজ শুরু হবে।”