ফুল দিয়ে দোল। রঙের উত্সবে সামিল দৃষ্টিহীনও। দক্ষিণ কলকাতায় সুমন বল্লভের তোলা ছবি।
বসন্ত উত্সবের ভিড়ে নজরদারি চালাতে সাদা পোশাকের পুলিশের পাশে থাকছে সিসিটিভি-ও। যানজট এড়াতে বিশ্বভারতীর এলাকায় ঢোকার মুখে করা হয়েছে গাড়ি রাখার একাধিক ব্যবস্থাও।
শনিবার সন্ধ্যাতেই আশ্রম মাঠে বসন্তবন্দনা এবং রাতে গৌর প্রাঙ্গণে বৈতালিকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব ছাত্রছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপক ছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা সামনে রেখে এ বার আগেভাগেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে বীরভূম জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পানীয় জল, নিরাপত্তা, প্রাথমিক চিকিত্সা, অগ্নি নির্বাপণের জন্য আলাদা-আলাদা অস্থায়ী শিবির করা হয়েছে।
বিশ্বভারতীর মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক ইউ পি সিংহ জানান, আশ্রম সাফসুতরো রাখা এবং বিশিষ্ট শিল্পীদের শিল্পকর্ম রক্ষার জন্য রবিবার দুপুর ১২টার পরে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য দেখতে অবশ্য সকলে ফের ঢুকতে পারবেন। বিশ্বভারতী কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক সৌগত সামন্ত বলেন, “ছাত্রছাত্রী এবং মহিলাদের নিরাপত্তার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশ জানায়, মূল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে চারটি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এসডিপিও (বোলপুর) সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “১৪০ জন অফিসার এবং কনস্টেবল নিয়ে চারশোরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। ছাত্রী এবং মহিলাদের কথা মাথায় রেখে ৮০ জনেরও বেশি মহিলা পুলিশ রাখা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে সাদা পোশাকে পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মীরা থাকছেন।” কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকছে বোলপুরের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল।
বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, “পুরসভার তরফে উত্সব প্রাঙ্গণে পানীয় জল, মোবাইল টয়লেট ভ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে থাকছেন পুরকর্মীরাও। ডাকবাংলোয় থাকছে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা।” এ ছাড়া বিনয় ভবন, সাঁতার পুকুর, রতনপল্লি, ফার্স্ট গেট এলাকাতেও গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকছে।