মুরারই কলেজের ভোট বাতিল করল হাইকোর্ট

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কলেজের ছাত্র সংসদ ভোটে জিতেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সোমবার বীরভূমের মুরারই কবি নজরুল কলেজের ছাত্র সংসদের সেই নির্বাচনকেই বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অশোককুমার দাস অধিকারীর সিঙ্গল বেঞ্চ ওই কলেজে ছাত্র সংসদের গোটা ভোট প্রক্রিয়াটিই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন করে শুরুর নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কলেজের ছাত্র সংসদ ভোটে জিতেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সোমবার বীরভূমের মুরারই কবি নজরুল কলেজের ছাত্র সংসদের সেই নির্বাচনকেই বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অশোককুমার দাস অধিকারীর সিঙ্গল বেঞ্চ ওই কলেজে ছাত্র সংসদের গোটা ভোট প্রক্রিয়াটিই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন করে শুরুর নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নির্বাচনের বিরোধিতা করে গত ২৪ জানুয়ারি ১৪ জন ছাত্র পরিষদ সমর্থক হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ছাত্র সংসদ ভোটের মনোনয়নপত্র তোলার দিন তালা ঝোলানো হয়েছিল কলেজের মূল গেটে। তা খুলতে গিয়ে বাধা পান খোদ বিডিও। শেষমেশ বহুক্ষণ বাদে তালা খোলা হলেও সাহস করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তুলতে কলেজের ভিতরে যাননি বহু পড়ুয়াই। এই পরিস্থিতিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে টিএমসিপি।

মামলা করা ছাত্রদের পক্ষে আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “হাইকোর্ট নির্বাচনের জন্য নতুন দিন ধার্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন খোদ পুলিশ সুপারকে এবং নির্বাচনের দিন জেলাশাসককে দাঁড়িয়ে থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে।” টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা অবশ্য জানান, রায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের সংগঠন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবে।

Advertisement

গত ২১ জানুয়ারি মুরারইয়ের ওই কলেজে মনোনয়নপত্র তোলার একমাত্র দিন ছিল। ওই দিন বেলা ১১টা থেকেই কলেজের গেটে তালা ঝুলছিল। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, টিএমসিপি ওই তালা ঝুলিয়ে এবং গেটের সামনে জমায়েত করে মনোনয়নপত্র তুলতে বাধা দেয়। সেখানে হাজির থাকলেও পুলিশ তালা খুলতে উদ্যোগী হয়নি। ছাত্র পরিষদ নেতা মাশুকুল ইসলাম সিবলির দাবি, খবর পেয়ে বিডিও এসে তালা খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু টিএমসিপি তাঁকেও বাধা দেয়। শেষমেশ বিডিও-র নির্দেশে তালা ভেঙে ফেলা হয়। ততক্ষণে অবশ্য বাধা পেয়ে মনোনয়নপত্র তুলতে না পেরে বহু পড়ুয়াই ফিরে গিয়েছেন। ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি ওই কলেজের ছাত্র সংসদের দখল নেয়। মাশুকুল বলছেন, “হাইকোর্টের রায়েই প্রমাণ হয়ে গেল, আমাদের অভিযোগ ঠিক ছিল।”

আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি কলেজের টিচার-ইন-চার্জ নিমাই প্রামাণিক, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজা এবং মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম। ফোন ধরেননি জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীও। তবে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীই চলব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন