বৈঠকেও বেরোল না সমাধানসূত্র। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের গোবরান্দা গ্রামের জলের পাইপ তৈরির কারখানা এখনই খোলা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিক মৃত্যুর জেরে গোবরান্দা গ্রামের ওই পাইপ তৈরির বেসরকারি কারখানাটিতে গত ৬ ফ্রেবুয়ারি ভাঙচুর হয়। প্রহৃত হন কারখানার কিছু কর্মী। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরেই নিরাপত্তাজনিত কারণে কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পাশের মঙ্গলদা গ্রামে তাদের পাইপ তৈরির অন্য কারখানাটিও সোমবার থেকে বন্ধ করে দিয়েছে বেসরকারি সংস্থাটি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ দিন গোবরান্দার কারখানাটি খোলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় ডেকেছিল শ্রম দফতর। রঘুনাথপুরে শ্রম দফতরের অফিসে হওয়া বৈঠকে মীমাংসাসূত্র বেরোয়নি।
এ দিন রঘুনাথপুরের সহকারী শ্রম কমিশনার সবুজকুমার ঢালির সঙ্গে আলোচনায় বসেন গোবরান্দার কারখানার কিছু পদস্থ কর্মী ও তাদের তরফের আইনজীবী। উপস্থিত ছিলেন কাজ হারানো ওই কারখানার শ্রমিকরাও। বৈঠকে কারখানা কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণেই কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে, কারখানা খোলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। কিন্তু, শ্রম দফতরের পক্ষে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় বলেই মূলত ে দিনের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কারখানার কর্ণধার অঞ্জন মজুমদার বলেন, “কারখানা পরিচালনার কাজের দায়িত্বে থাকা পদস্থ কর্মীরাই মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না নিরাপত্তাজনিত সমস্যার জন্য। প্রশাসন কারখানা খোলার ও চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করে দিলে খুলতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।” সহকারী শ্রম কমিশনার জানান, ওই কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে এবং ওই ধরনের ঘটনা ফের ঘটার অমূলক আশঙ্কা করছেন তাঁরা। কিন্তু, ওঁরা নিরাপত্তার বিষয়ে অনড় ছিলেন। সবুজবরণবাবু বলেন “এ দিনের আলোচনার রিপোর্ট মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে।”