পিন্টু দাস।—নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক জনের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি তপেন সেন এবং বিচারপতি অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ পিন্টু দাস নামে ওই সাজাপ্রাপ্তের জামিন মঞ্জুর করে।
২০১২-র ১৩ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনের বাড়িতে মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণুদেবী খুন হন। ওই ঘটনায় ২৬ মে বোলপুর আদালত নিহতের বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার, এলাকায় দুষ্কৃতী বলে পরিচিত মঙ্গল সাহানি এবং তার সঙ্গী পিন্টু দাসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
খুনের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে উজ্জ্বল তপাদারকে গ্রেফতার করে। পরে ধরা হয় মঙ্গল এবং পিন্টুকে। পুলিশের দাবি, মঙ্গল ও পিন্টু ওই বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল। ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রেণুদেবী চিত্কার করে ওঠেন। তখন মঙ্গল তাঁর মুখে রডের ঘা মারে। বৃদ্ধা লুটিয়ে পড়েন। রেণুদেবীর েমাবাইল েফান আর ব্যাগ হাতড়ে টাকা বার করে দুই আততায়ী পালায়। পুলিশ মঙ্গলকে সঙ্গে নিয়ে রেণুদেবীর বাড়ির কিছু দূরে খুনে ব্যবহৃত রডটি উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, পিন্টুর কাছ থেকে রেণুদেবীর ওষুধের প্যাকেট উদ্ধার হয় বলে।
ঘটনার আগে পর্যন্ত পিন্টুর নামে থানায় কোনও অভিযোগ ছিল না। গ্রেফতারের পরে মঙ্গল পিন্টুকে ঘটনায় নিজের সহযোগী বলে দাবি করেছিল। পিন্টুর বক্তব্য ছিল, পুরনো রাগ থেকে মঙ্গল তাঁকে ফাঁসিয়েছে। পুলিশও সেইমতো মামলা সাজিয়েছে। এ দিন আদালতে পিন্টুর আইনজীবীও প্রায় একই মর্মে অভিযোগ করেন।
পিন্টুকে মায়ের খুনের অপরাধী বলেই মনে করছেন রেণুদেবীর মেয়ে অদিতি সরকার। পিন্টুর জামিনের খবরে বিস্মিত অদিতিদেবী বলেন, “জানি না, কী ভাবে সাজার দু’মাসের মধ্যেই জামিন হল! আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত পদক্ষেপ করব।”