সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল। রবিবার বীরভূমের রামপুরহাট থানার বেনোরো গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, “ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা এখনই তা বলা যাবে না। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই এ ব্যাপারে জানাতে পারব।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত শিশুকন্যাটি গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার থেকেই তার সন্ধান মিলছিল না। রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের ঝোঁপ থেকে তার নিথর দেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। মেয়েটির বাবা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর মেয়ের আর খোঁজ মেলেনি। তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম মেয়ে কারও বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছে। কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় চিন্তা শুরু হয়।” পাড়া প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ করেও ওই শিশুকন্যার দেখা মেলেনি। রবিবার সকালেই গ্রামের দনুপুকুরের পাড় থেকে মৃত অবস্থায় মেয়েটির দেহ পান বাসিন্দাদের একাংশ। ওই শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনটাই মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট থানার আইসি হিরণ্ময় হোড়।
এ দিন রাতেই নিহত শিশুকন্যার মা রামপুরহাট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়না-তদন্তের জন্য মৃতদেহটি রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।