হামলা, অভিযুক্ত বিজেপি

তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের অদূরে থাকা দলের এক কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সাত্তোর এলাকার ঘটনা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাড়ুই থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে কেউ এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাড়ুই শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩২
Share:

তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের অদূরে থাকা দলের এক কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সাত্তোর এলাকার ঘটনা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাড়ুই থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে কেউ এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে সাত্তোর বাসস্ট্যান্ডের পিছনে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় কুড়িটি বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ওই বোমা উদ্ধারের পরে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের মধ্যে তরজা শুরু হয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে দুই দলের তরজাকে ঘিরে সাত্তোর বাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে উভয় দলের কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়। ওই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে উভয় দলের কর্মী-সমর্থকেরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। রাতের দিকে বোমাবাজি শুরু হয়। তৃণমূল কর্মী শেখ রফিকের অভিযোগ, “ওই দিন সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ডের একটি দোকানের পাশে বসেছিলাম। ওই সময়ে বিজেপির স্থানীয় নেতা নিমাই দাস ও তার সঙ্গী এবং বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তেড়ে আসে। কোনও মতে পালিয়ে যাই। আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে বোমাবাজি করে। ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। মেয়ের বিয়ের জন্য সোনাদানা, নগদ টাকা রেখেছিলাম। সব লুঠ করে নিয়ে পালিয়েছে।” রফিকের মেয়ে রেক্সোনা খাতুনের দাবি, “বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যার পর থেকে অনেকে বাবার খোঁজে বারে বারে আসছিল। এমন সময়ে রাতে আমাদের বাড়িতে বোমাবাজি করেছে ওরা। ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। সোনাদানা, নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আতঙ্কে আমরা প্রতিবেশীদের কাছে ছিলাম। সকালে বাবা আসায় বিষয়টি জানাই।” তৃণমূলের সাত্তোর অঞ্চল সম্পাদক শেখ মুস্তফার দাবি, “নিমাই দাসের নেতৃত্বে হয়েছে। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে তুলছে ওরা।” সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা নিমাই দাস। তাঁর পাল্টা দাবি, “আসলে সাত্তোরে আমাদের দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। দলে দলে ওই এলাকার মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে দেখে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন