হচ্ছে না রাস্তা সংস্কার, ক্ষোভ

রায়পুর থেকে ঢোলকাটা পর্যন্ত রাস্তা মেরেকেটে ৯ কিলোমিটার হবে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে গোটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৬
Share:

রায়পুর থেকে ঢোলকাটা পর্যন্ত রাস্তা মেরেকেটে ৯ কিলোমিটার হবে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে গোটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, পাথর বোঝাই ১০০০-১২০০ গাড়িও যাতায়াত করে প্রতিদিন। উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সকলেই এই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার মানুষের দাবি, জেলা প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে বার বার রাস্তা সারানোর আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement

মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মহম্মদবাজারের রায়পুর থেকে একটি রাস্তা হরিণসিঙা হয়ে ঢোলকাটা চলে গিয়েছে। এই রাস্তার উপরেই রায়পুর, দেউচা, মুরগাবুনি, জগতপুর, হরিণসিঙা, শালডাঙা, ঢোলকাটা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পড়ে। এ সব গ্রামগুলির মধ্যে দু’চারটি বাদ দিলে বাকি গ্রামগুলি হল পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকা। বাসিন্দাদের কথায়, এই এলাকার রাস্তাঘাট দেখলে কেউ বলবে না তাঁদের এলাকা পাথর শিল্পাঞ্চল বলে খ্যাত। এলাকার রাস্তা এমন খানাখন্দে ভরা এবং যত্রতত্র এমন ভাবে পাথর বেরিয়ে আছে যে, হেঁটে চলাও দায়। কিন্তু শত ঝঁুকি মাথায় নিয়ে ওই রাস্তার উপর দিয়েই তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত থেকে শুরু করে ব্যাবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালতে নানা প্রয়োজনে সাইকেলে বা হেঁটে প্রতিদিন রায়পুর যাতায়াত করতে হয়। মল্লারপুরের টুরকু হাঁসদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সালডাঙার পূর্ণিমা টুডু, সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্র ঢোলকাটার কালীদাস সোরেন বলেন, “রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা আর বলবেন না। কী কষ্ট করে যাতায়াত করি তা আমরা ও আমাদের এলাকার লোকজনেরাই জানি। মাসে যে কত বার সাইকেলের টায়ার-টিউব সারাতে হয় তা গুনে শেষ করা যাবে না। একে পড়াশোনার খরচ। তার উপর প্রতিনিয়ত সাইকেল সারানোর বাড়তি খরচ।” একই অভিজ্ঞতার কথা শোনান জগতপুরের আলাউদ্দিন মিঞা, হরিণসিঙার শ্যামচাঁদ হাঁসদা, শালডাঙার বয়ল সোরেন, সুকদি মুর্মু, নিশ্চিন্তিপুরের রুবন মুর্মু, ঢোলকাটার চুড়কো টুডুরা।

ঢোলকাটার পঞ্চায়েত সদস্যা সোনালি মুর্মু বলেন, “রাস্তাটি জেলা পরিষদের। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তার অবস্থা বেহাল। পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলা পরিষদ সবস্তরে জানিয়েছি। হবে হবে বলে সবস্তর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি।” তবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী দাবি করেন, “জেলার অধিকাংশ রাস্তারই বেহাল অবস্থা ছিল। তৃণমুল ক্ষমতায় আশার পর অধিকাংশ রাস্তা সারানো হয়েছে। ইতিমধ্যে মহম্মদবাজার ও অন্যান্য পাথর শিল্পাঞ্চলের খারাপ রাস্তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। সমস্ত রাস্তাই সারানো ও সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যেই রায়পুর থেকে ঢোলকাটা রাস্তার জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে।” বাসিন্দাদের দাবি, কাজ অনেক দিন আগে কাজ শুরু হয়েছিল। রায়পুর থেকে মুরগাবনি পর্যন্ত দেড় কিমি রাস্তার কাজ হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে আছে। তার পর আর এগোয়নি।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন