হঠাৎ অনাস্থা নয়, বার্তা সভাধিপতির

যখন তখন পঞ্চায়েতে অনাস্থা না এনে আলোচনার মাধ্যমে জট কাটাতে হবে। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রথম বার্ষিক অধিবেশনে এই বার্তাই দিলেন জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০১:১১
Share:

যখন তখন পঞ্চায়েতে অনাস্থা না এনে আলোচনার মাধ্যমে জট কাটাতে হবে। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রথম বার্ষিক অধিবেশনে এই বার্তাই দিলেন জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। শুক্রবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে সভাধিপতি যখন এই বক্তব্য রাখছেন, ঘটনাচক্রে তার আগেই দিনই সিমলাপালে তাঁর দল তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বিডিও-কে চিঠি দেন তৃণমূলের কিছু পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের সঙ্গী হয়েছেন সিপিএমেরও কিছু পঞ্চায়েত সদস্য।

Advertisement

ওই ঘটনার জেরে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এসেছে। এ দিন সভাধিপতি বলেন, “একের পর এক পঞ্চায়েতে অনাস্থার ঘটনা ঘটছে। প্রধানের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে আমাদের জানালে আলোচনার মাধ্যমে আমরাই মিটিয়ে দেব। অনাস্থা এনে জল ঘোলা করার কোনও দরকারই নেই।” বিডিওকে দেওয়া অনাস্থার চিঠিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রধানের বিরুদ্ধে অনুন্নয়নের অভিযোগ আনা হচ্ছে। শাসকদলের এই গোষ্ঠী কোন্দলে অনাস্থার জেরে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে বিরোধীদের দাবি। তা অবশ্য মানতে নারাজ সভাধিপতি। সভার শেষে তিনি দাবি করেন, “উন্নয়নের কাজ কোথাও থমকে নেই। সে বিষয়ে আমাদের কড়া নজর রয়েছে। দলের নির্দেশ রয়েছে অনাস্থা আনার আগে জেলা নেতৃত্বের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তা নেওয়া হচ্ছে না। তাই এ কথা বলেছি।” উন্নয়নের প্রশ্নে কোথাও আপস করা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ক্রমশ বাড়ছে।

এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ মুনমুন সেন, জেলাশাসক বিজয় ভারতী-সহ জেলাপরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধানরা। অনুষ্ঠানে জেলা সভাধিপতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে গত এক বছরে জেলাপরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। সাংসদ মুনমুন সেন তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “বাঁকুড়ার মানুষ যখনই আমাকে চাইবেন তখনই আমাকে পাশে পাবেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন