রাস্তা কার, জানাতে হবে সাইনবোর্ডে

এক প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁকে জানানো হয়েছিল, রাস্তাটি পূর্ত দফতরের নয়, তা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কোন রাস্তা কার, তা জানান দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থার নাম লিখে দিতে হবে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৮ ০৫:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

মেরামতির দায়িত্ব কার, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার আগে সাব্যস্ত করা দরকার, রাস্তা কার! এই নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে রাস্তায় রাস্তায় সংশ্লিষ্ট দফতরকে সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই নিয়ম সর্বত্র বলবৎ হয়নি। তাই সাইনবোর্ড দেওয়ার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল পূর্ত দফতর।

Advertisement

গত সপ্তাহে সাইনবোর্ড লাগানো সংক্রান্ত দু’টি নির্দেশিকা জারি করেছে পূর্ত দফতর। পূর্তসচিব অর্ণব রায়ের সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দফতরের অধীন রাস্তায় সাইনবোর্ড দিতে হবে। পাঁচ কিলোমিটার অন্তর লাগানো ১২০০ এবং ৯০০ মিলিমিটারের সাইনবোর্ডে লেখা থাকবে, ‘এই রাস্তাটি মেরামত করেছে পূর্ত দফতর’। সাইনবোর্ড দেওয়ার জন্য আগেও পূর্ত দফতর নির্দেশ দিয়েছিল। তা সর্বত্র কার্যকর হয়নি। রাজ্যের অনেক রাস্তায় পূর্ত দফতরের কোনও বোর্ড নেই। সাইনবোর্ড সংক্রান্ত নির্দেশিকা বলবৎ করতে পূর্ত দফতরের অধীন এগ্‌জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ত দফতরের রাস্তার পার্থক্য বোঝাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, আমজনতার ধারণা, বেশির ভাগ রাস্তাই পূর্ত দফতরের। ‘‘যে-রাস্তা পূর্ত দফতরের অধীন নয়, তা খারাপ হলে তারা দায় নেবে কেন,’’ প্রশ্ন এক পূর্তকর্তার।

Advertisement

এক প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁকে জানানো হয়েছিল, রাস্তাটি পূর্ত দফতরের নয়, তা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কোন রাস্তা কার, তা জানান দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থার নাম লিখে দিতে হবে। কোথাও কোথাও সেই নির্দেশ বলবৎ হলেও রাজ্যের অনেক রাস্তার ক্ষেত্রে তা হয়নি। পূর্ত দফতর ছাড়াও কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভার অধীনে অনেক রাস্তা রয়েছে। রাস্তা আছে জেলা পরিষদের আওতাতেও। স্থানীয় স্তরে এলাকার ছোট ছোট রাস্তা স্থানীয় পুরসভা এবং পঞ্চায়েত দফতরও মেরামত করে।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্যের মধ্যে থাকা ১৬৮৭ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের রাস্তা মেরামত করে পূর্ত দফতর। তা হলে কি সেখানেও এ ভাবে ওই দফতরের নামে সাইনবোর্ড দেওয়া হবে? জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রাস্তা মেরামতের জন্য পূর্ত দফতর অর্থও পায়। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও সব সময় জাতীয় সড়কের সংশ্লিষ্ট অংশের ঠিকঠাক মেরামত হয় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement