অস্থায়ী অধ্যক্ষ দিয়েই চলছিল কাজ। কিন্তু কাজে গতি আনতে এবং কলেজ আরও ভাল ভাবে চালাতে ‘নিয়ম মেনে’ নিয়োগ করা হল স্থায়ী অধ্যক্ষ। আর তা নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক বেধেছে কল্যাণীর কলেজ অব মেডিসিন ও জেএনএম হাসপাতালে। অভিযোগ, অধ্যক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাই নেই ওই পদে নিযুক্ত কেশব মুখোপাধ্যায়ের।
নিয়োগের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, অধ্যক্ষ হতে গেলে যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে অন্তত ১০ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে অধ্যাপক (প্রফেসর) হিসেবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কেশবের ক্ষেত্রে পরের নিয়মটিই মানা হয়নি বলে অভিযোগ। অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি তাঁর। নভেম্বরের ১ তারিখে অধ্যক্ষ পদের জন্য নিয়োগপত্র পেয়েছেন কেশব।
যোগ্যতার বিষয়ে খামতির কথা মেনে নিয়েছেন তিনি নিজেও। কেশব বলেন, ‘‘আমি ইন্টারভিউ বোর্ডের মুখোমুখি হয়েছিলাম। তারাই আমাকে নিয়োগপত্র দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমার কী করার থাকতে পারে?’’ রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন পাণ্ডে জানিয়েছেন, সিলেকশন কমিটিই প্রার্থী চূড়ান্ত করে। তাদেরই উচিত যোগ্যতা দেখে নেওয়া। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুকান্ত সিংহ বলেন, “ওই পদের জন্য তিন জন আবেদন করেছিলেন। যোগ্যতম প্রার্থী আবেদন প্রত্যাহার করেন। অন্য জন বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্য একটি পদে নিযুক্ত হয়েছেন। ফলে কেশববাবুকেই ওই পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।”
শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এর ফলে প্রশাসনিক বা অন্য কোনও কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা না হলেও কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে অনুমোদন আটকে দিতে পারে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)। এই কলেজ স্নাতক স্তরে আসন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। সে ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে বলে মত ওই কলেজেরই শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশের।
মেডিক্যাল সুপারের পদে বসার যোগ্যতা না থাকায় গত বছর একটি মেডিক্যাল কলেজের আসন বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়নি এমসিআই। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, সেই নিয়মেই আটকে যেতে পারে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের আসন বৃদ্ধির অনুমোদনও।