মামলার বিচার শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এক অভিযুক্ত নাবালক না সাবালক, সেই বিতর্ক ফের শুরু হল। এ বার কলকাতার এনআইএ আদালতে। অভিযুক্তের নাম বরকত আলি। বৈষ্ণবনগরের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা বরকতের কাছ থেকে ৬৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছিল। এক স্কুলশিক্ষকের সাক্ষ্য থেকে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত। এই বিষয়ে ২৯ জানুয়ারি শুনানি হওয়ার কথা।
২০১৫-র মে মাসে রুজু হওয়া ওই মামলার তদন্তে জাল নোট চক্রের হদিস পান গোয়েন্দারা। তাঁরা জানতে পারেন, বরকত একটি স্কুলের শংসাপত্র পেশ করে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছিল যে, যখন সে গ্রেফতার হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। অর্থাৎ সে ছিল নাবালক। কিন্তু তদন্তে ধরা পড়ে, বরকতের বয়স তখন ছিল ১৯ বছর অর্থাৎ সে ছিল সাবালক। আসলে স্কুল শংসাপত্র দিয়েছিল একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারের ভুয়ো ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে। এনআইএ-র চার্জশিটে নথিপত্রে কারচুপির অভিযোগও আনা হয়েছে বরকতের বিরুদ্ধে।
তা হলে ফের বিতর্ক কীসের?
আদালত সূত্রের খবর, এই মামলায় মহিবুর রহমান নামে বৈষ্ণবনগরের এক স্কুলশিক্ষক সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্ত পক্ষের অন্যতম আইনজীবী মহম্মদ আবু সেলিমের প্রশ্নের উত্তরে ওই শিক্ষক জানান, বরকতের জন্ম-তারিখ ২০০০ সালের ২ জানুয়ারি। সে-ক্ষেত্রে ২০১৫-র ৬ মে জাল নোট-সহ গ্রেফতারের দিন বরকতের বয়স ছিল ১৫ বছর চার মাস চার দিন। এ কথা উল্লেখ করে সেলিম এনআইএ আদালতের বিচারকের কাছে আবেদন করেছেন, বিচারের জন্য অভিযুক্ত বরকতকে যেন জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
এনআইএ-র তরফে অবশ্য বলা হয়, ধরা পড়ার সময়ে বরকত যে সাবালক ছিল, সেই বিষয়ের নিষ্পত্তি আগেই হয়ে গিয়েছে।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সেলিমের যুক্তি, ‘‘এনআইএ এটা দাবি করেছে চার্জশিটে। কিন্তু বিচারের সময়ে সাক্ষী আদালতে যে-বক্তব্য পেশ করবেন, সেটাই গ্রাহ্য হবে।’’