Primary Teachers Recruitment Case

‘পদ্ধতি মেনে গঠন করা হয়নি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ’, প্রাথমিকে ৪২ হাজার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্ন উঠল টেটের মাধ্যমে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ৪২ হাজার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:২৭
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

টেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকের ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে এ বার প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাই কোর্টে। মূল মামলাকারীদের বক্তব্য, ২০১৫ সালের পর থেকে অনেক ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (ডিপিএসসি) গঠন করা হয়নি। ফলে ওই সব ডিপিএসসি শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দিতে পারে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement

সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষ হয়নি। আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় আরও কয়েকটি শুনানি হবে। পুজোর ছুটির পরে আগামী ২৯ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সোমবার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বেআইনি ভাবে করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সওয়াল করেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম। তাঁর সওয়াল, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফলপ্রকাশ হয়। কিন্তু পদ্ধতি মেনে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

বিকাশের সওয়াল, শুধুমাত্র দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যেই মেধাতালিকা প্রকাশ না করা হতে পারে। অনেককে ‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিকের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের লোকজন জড়িয়ে না থাকলে প্যানেলের বাইরে নিয়োগ কী ভাবে সম্ভব? বিধায়ক, সাংসদরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’’

Advertisement

২০২৩ সালে আদালত পরীক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল বলে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীদের দাবি। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বৈধ উপায়ে যদি ডিপিএসসি গঠিত না হয় তবে তাদের নিয়োগকে মান্যতা দেওয়া হবে কী ভাবে? বেশির ভাগ ডিপিএসসিতে চেয়ারম্যান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হাত ধরেই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ আইনে সে রকম কিছু বলা নেই বলে হাই কোর্টে অভিযোগ করেন বিকাশেরা। পূর্ব মেদিনীপুরের একটি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে জানিয়েছে ২০১৫ সালের পর থেকে ওই জেলায় ডিপিএসসি গঠন করা হয়নি। সোমবার মামলাকারীদের তরফে পুরো নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement