জন্মজয়ন্তীতে মন্ত্রীর বিবেকানন্দ স্মরণ

নেতাকে ফের ধমক দিলেন রবি ঘোষ

দলীয় সূত্রের খবর, দিন দু’য়েক আগে প্রশাসনিক সভায় ডাক পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন শুচিস্মিতা। সেই বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩০
Share:

প্রণাম: এ দিন উত্তর জুড়ে স্বামীজির জন্মজয়ন্তী পালন করলেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ। —নিজস্ব চিত্র

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ফের মেজাজ হারানোয় বিতর্ক তৈরি হল দলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার কোচবিহার বোরোলি উৎসবের সূচনা করার ঠিক আগে রবীন্দ্রভবনের সামনে মেজাজ হারান মন্ত্রী। তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শুচিস্মিতা দেবশর্মা। তাঁকে দেখেই ধমক দেন মন্ত্রী। বলতে থাকেন, “পেপারে স্টেটমেন্ট দাও। বড় হয়ে গিয়েছ। কীসের আমন্ত্রণ! এর পরে যখন টিকিট (ভোটে দাঁড়ানোর দলীয় ছাড়পত্র) কেটে দেব, তখন আমন্ত্রণ বেরিয়ে যাবে।” তাঁর ওই ধমকে ঘাবড়ে যান শুচিস্মিতাদেবী। সেই সময় সেখানে শতাধিক মৎস্য চাষি ছাড়াও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এবং দলের অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও মন্ত্রীর মেজাজ দেখে হতবাক হয়ে যান।

Advertisement

পরে শুচিস্মিতাদেবী ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি দলের কর্মীকে বকাবকি করতেই পারেন। দলীয় সূত্রের খবর, দিন দু’য়েক আগে প্রশাসনিক সভায় ডাক পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন শুচিস্মিতা। সেই বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি মন্ত্রী। দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির এক নেতা জানান, কেন মন্ত্রী হঠাৎ করে রেগে গেলেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তিনি পরেও কর্মাধ্যক্ষকে ডেকে সতর্ক করে দিতে পারতেন বলে দলের অনেকে মনে করেন।

ভোটের সময় রেগে গিয়ে এক কর্মীকে চড় মেরে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তারপরে আবারও তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা যায় নোটবন্দির পরে। কয়েক মাস আগে কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে মেজাজ হারান মন্ত্রী। দশ দিন ধরে ব্যাঙ্কে লিঙ্ক নেই বলে অভিযোগ ওঠায় তা নিয়ে প্রকাশ্যেই তিনি ব্যাঙ্কের কর্মীদের হুমকি দেন বলে অনেকে দাবি করেন। গালি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও তা প্রচার হয়।

Advertisement

মন্ত্রীরা এ ভাবে মেজাজ হারানোর ঘটনায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবারই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। উত্তরের আরেক মন্ত্রী গৌতম দেবও একাধিকবার প্রকাশ্যে মেজাজ হারিয়েছেন। তিনিও শীর্ষ নেতাদের অসন্তোষের মুখে পড়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন