অন্তর্দ্বন্দ্ব ছেড়ে দলকে সংগঠনে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
ঘর গুছিয়ে নিয়ে এখন লোকসভা ভোটের রণকৌশল চূড়ান্ত করার সময়। সেই সময়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছেড়ে সংগঠনে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। সেই লক্ষ্যেই বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের প্রতি কংগ্রেস সভাপতির পরামর্শ, তাঁরা যেন ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নেন।
গৌরবকে বাংলায় দলের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন রাহুলই। গৌরব দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তাঁকে ফোন করেও ‘ব্যস্ততা’র কারণে কথা বলতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। গৌরব প্রথম বার রাজ্যে বৈঠক করতে এসে বিধায়কদের আলোচনায় ডাকলেও খবর পাঠানো হয়নি বিরোধী দলনেতাকে। কয়েক দিন আগে দ্বিতীয় বার রাজ্য সফরে এসে গৌরব অবশ্য নিজেই ফোন করেছিলেন মান্নানকে। কিন্তু তিনি তখন লোকাল ট্রেনে আছেন তাই কথা বলতে পারছেন না, এই বলে এড়িয়ে যান বিরোধী দলনেতা। দু’জনের এই টানাপড়েনের খবর গৌরব মারফতই পেয়েছিলেন রাহুল। দিল্লির গুরুদ্বার রকাবগঞ্জ রোডে শুক্রবার বাংলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর্বে মান্নান-গৌরবকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, বাংলার নেতাদের এক এক করে ডেকে রাহুলের কথা বলার সময়ে হাজির ছিলেন গৌরবও। বিরোধী দলনেতাকে দেখে তিনি জানতে চান, গৌরবের সঙ্গে তাঁর কী হয়েছে? দু’জনেই তাঁদের বক্তব্য জানান। মান্নান অভিযোগ করেন, হুগলিতে গৌরব কর্মিসভা করেছেন অথচ তাঁকে জানানো হয়নি। তাঁর উপরে অনাস্থা থাকলে তিনি পদ ছেড়ে দিতেও রাজি আছেন। রাহুল বলেন, এমন ছোটখাটো ব্যাপারে বেশি মাথা না ঘামাতে। গৌরবের বক্তব্য, পরের বার কলকাতায় গিয়ে অবশ্যই পরিষদীয় নেতার সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আর মান্নান বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি যা জানতে চেয়েছেন, বলেছি।’’