জোট ছাড়াই দলকে তৈরি রাখছেন রাহুল

মান্নানই রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোটের প্রধান রূপকার ছিলেন। এখনও তিনি মনে করেন, জোট না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাভ। মান্নানের বক্তব্য, জোশী অবশ্য তাঁকে বলেছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৯
Share:

পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে আপাতত জোটের কথা ভাবছেন না রাহুল গাঁধী।

Advertisement

সবং, উলুবেড়িয়ার মতো উপনির্বাচনে সিপিএম একতরফা ভাবে (আগে দক্ষিণ কাঁথি বা কোচবিহারেও তা-ই) প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস নেতৃত্বের মত, এর পরে আর জোট রাখার প্রশ্ন আসছে না। এমনকী, বামেদের সঙ্গে জোট ছাড়াই রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরিকল্পনা করতে বলেছেন রাহুল।

সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান দিল্লিতে এসে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা সি পি জোশীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মান্নানই রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোটের প্রধান রূপকার ছিলেন। এখনও তিনি মনে করেন, জোট না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাভ। মান্নানের বক্তব্য, জোশী অবশ্য তাঁকে বলেছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে।

Advertisement

রাহুল নিজেও অধীর চৌধুরীকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি। অধীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘স্ট্রিট ফাইটার’ হিসেবেই পরিচিত। কংগ্রেস সভাপতির যুক্তি, জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া দরকার হবে। কিন্তু তার জন্য রাজ্যে মমতা সরকারের বিরোধিতা না করলে কংগ্রেস তৃণমূলের ‘বি-টিম’-এ পরিণত হবে। কংগ্রেস সভাপতির কাছে মান্নানেরও দাবি, জাতীয় রাজনীতিতে বোঝাপড়া করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যেন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা না হয়।

প্রশ্ন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও কি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চাইছেন? মমতা বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলায় মোদী-বিরোধী মঞ্চের প্রয়োজনের কথা বলছেন ঠিকই। কিন্তু আপাতত তিনি বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব রাখতে দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে পরোক্ষ ভাবে সমঝোতা হলেও এখনও লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা ক্ষীণ। একা লড়েই মমতা যেখানে রাজ্যের সিংহভাগ আসন জেতার দাবিদার, সেখানে তিনি ভাগীদার চাইবেন কেন!

সিপিএমের মধ্যে আবার কংগ্রেস-প্রশ্নে বিতর্ক তুঙ্গে। বিজেপি-র বিপদ মোকাবিলায় বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার যুক্তি এখন প্রকাশ কারাটেরাও মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরি যে ভাবে ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি করে কংগ্রেস-সহ ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে ভোটের আগেই বোঝাপড়া চান, তার ফয়সালা পার্টি কংগ্রেসের আগে সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় ভাঙা সংগঠন নিয়ে রাজ্যে একাই চলতে হচ্ছে কংগ্রেসকে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন