বৃষ্টি-মানুষে জোর লড়াই

আমজনতার উৎসাহে অবশ্য তেমন জল ঢালতে পারল না দফায় দফায় বৃষ্টি। আর তাই মহাষ্টমীর দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই রাজপথে পা বাড়াল মানুষ। ছাতা হাতে জল মাড়িয়েই মণ্ডপমুখী জনতা।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩০
Share:

সকাল থেকে শুরুটা ঠিকই ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই যেন কিছুটা ছন্দপতন!

Advertisement

তবে সেটা প্রকৃতির খেয়ালের। আমজনতার উৎসাহে অবশ্য তেমন জল ঢালতে পারল না দফায় দফায় বৃষ্টি। আর তাই মহাষ্টমীর দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই রাজপথে পা বাড়াল মানুষ। ছাতা হাতে জল মাড়িয়েই মণ্ডপমুখী জনতা।

বৃহস্পতিবার সকালে কড়া রোদেই পুষ্পাঞ্জলি, কুমারী পুজো সেরে বাড়ি বা পাড়ার পুজোমণ্ডপে ভোগ খাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার মুখেই আকাশ ঢেকেছে কালো মেঘে। তাতে অবশ্য হেলদোল নেই মানুষের। দুপুরের খাওয়া সেরে ছাতা মাথায় এক পুজোর মণ্ডপ থেকে আর একটায় পৌঁছে গিয়েছে আট থেকে আশি।

Advertisement

বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা মণ্ডপের সামনে খাবারের স্টলে ছাতা মাথায় দিয়েই বিরিয়ানিতে মজে ছয় তরুণীর দল। ‘‘অক্টোবরের শেষে পুজো হলেও বৃষ্টি হয়। ও সব সয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির জন্য পুজোর মজা মাটি করব কেন,’’ কলকল করে উঠলেন কলেজ ছাত্রী মধুছন্দা দে।

সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেই কলেজ স্কোয়ারের সামনে রাস্তায় সবে ভিড়টা জমছে। ভিআইপি লাইনের খোঁজ করছিলেন হাওড়ার প্রণব সাহা। বৃষ্টিতেও এলেন? তাঁর জবাব, ‘‘ছাতা তো রয়েছে। পুজো তো আর রোজ আসবে না। ’’

আরও পড়ুন:জল, ফুচকাওয়ালাদের ব্যবসা জলে

এ দিন সন্ধ্যায় ঠাসা ভিড় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের বাইরে। ফুটপাথ ধরে কেউ ছাতা মাথায়, কেউ বৃষ্টি ভিজেই এগিয়ে চলেছেন দেশপ্রিয় পার্ক, হিন্দুস্থান পার্কের দিকে। দেশপ্রিয় পার্ক মণ্ডপের সামনে কর্তব্যরত এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘বৃষ্টি সত্ত্বেও ঠাকুর দেখার উৎসাহে ভাটা নেই। সপ্তমীর মতোই ভিড় রয়েছে।’’

গড়িয়াহাটে একডালিয়া এভারগ্রিনের মণ্ডপের সামনে ভিজে একসা এক দল কলেজ পড়ুয়া। নিজস্বী তোলার উৎসাহে অবশ্য খামতি নেই। বরং তাঁদের দাবি, ‘‘ভিজে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা। তার থেকেও মজা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্বী পোস্ট করে কমেন্টস পাওয়া।’’

এ দিন সকাল থেকেই ভিড় জমেছিল বেলুড় মঠেও। ৯টায় শুরু হয় কুমারী পুজো। বেলা গড়াতেই বৃষ্টি। বৃষ্টিতে সাময়িক ভাবে কোথাও ঠাঁই নিলেও পরক্ষণেই বেরিয়ে প্রসাদের লাইনে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ।

ভিড় ছিল হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও। দুপুরের পর থেকেই জেলা থেকে কলকাতায় আসা মানুষেরা সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এক দর্শনার্থীর কথায়, ‘‘এত ভিড় দেখে বৃষ্টিও এ বার পালাবে।’’

তবে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, হঠাৎ করেই শক্তি বেড়েছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হবে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন