পুজোর মুখে কলকাতায় বৃষ্টি। —ফাইল ছবি
ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগে ঢুকলে তার গতি কিছুটা কমবে। কিন্তু ওই ঘূর্ণিঝড়়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
তার আগেই অবশ্য বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই জেলাগুলিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোগান্তির শুরু। বিশেষ করে পূজো উদ্যোক্তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। মণ্ডপ তৈরির একে বারে শেষ লগ্নে এসে নৌকা ডোবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই সময় ওড়িশার গোপালপুর, অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনম লাগোয়া এলাকা লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রভাব পড়বে এ রাজ্যেও। দিঘা এবং রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলবে ঝোড়ো হাওয়া। গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হতে পারে। সে কারণেই পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর, মালদা এবং দুই বর্ধমানেও শুরু হবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। তিতলির প্রভাবে রবিবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিনও একই রকম ভাবে বৃষ্টি চলবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: পুজো অনুদানের সরকারি সিদ্ধান্তে নাক গলাবে না আদালত: হাইকোর্ট
আরও পড়ুন: কাজ ফেলে বৈশাখীর সঙ্গে শপিং? ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে প্রশ্ন মমতার, বাদানুবাদে জড়ালেন শোভন
শুধু তাই নয়, তিতলি ডানা ঝাপটে এ রাজ্যেও ঢুকে পড়তে পারে। তবে শক্তি হারাবে। তার জেরে ষষ্ঠীর দিনে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তমীর সকাল থেকে আকাশের গোমড়া মুখে হাসি ফোটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, “কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা-সহ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।”