প্রতীকী ছবি।
নিম্নচাপের অভিমুখ বদলে যাওয়ায় রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায়ের কথা ঘোষণা করল হাওয়া অফিস। একই সঙ্গে অবশ্য তারা এ-ও জানিয়ে দিল, কালীপুজো কিন্তু নির্বিঘ্নে কাটবে না। নিম্নচাপটি ও়ডিশা ও অন্ধ্রে হানা দিলেও তার প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। বদলে গিয়েছে হাওয়ার মতিগতিও। নির্ঘণ্ট মেনে চললে, ৮ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার কথা। কিন্তু গত কয়েক বছরের মতো এ বারও শেষ লগ্নে ঘূর্ণাবর্তের ধাক্কায় বিলম্বিত হয়েছে বর্ষা-বিদায়। নির্দিষ্ট দিনের থেকে ৮ দিন পরে বিদায় নিল সে।
গত সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তা দেখে মৌসম ভবনের একাংশের ধারণা ছিল, নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে বয়ে আসতে পারে। তার ধাক্কায় আরও পিছিয়ে যেতে পারে বর্ষার বিদায়লগ্ন। কিন্তু শেষমেশ নিম্নচাপ ওডিশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে রওনা দেওয়ায় বর্ষার বিদায়ে বাধা পড়েনি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘‘নিম্নচাপটি ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে হাজির হবে। তার প্রভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশে কয়েক পশলা হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।’’
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বর্ষা বিদায় নেওয়ার আগেই দখিনা বাতাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুকনো ঠান্ডা হাওয়া বইছে। দিন দুয়েক তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে। তবে এই হাওয়া ফের বদল হতে পারে। তার পিছনেও দায়ী নিম্নচাপ। কালীপুজোর সময়ে ফের দখিনা বাতাস বইবে। বাড়বে তাপমাত্রাও। আবহবিদদের একাংশের মতে, নিম্নচাপের প্রভাব কাটলেই ফের উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করবে। বাতাসে বাড়বে হিমেল ভাবও।